Home বিনোদন চাঁদের পুতুল ও সূর্যের ঘোড়া

চাঁদের পুতুল ও সূর্যের ঘোড়া

ছবি এআই

এক অলৌকিক প্রেম আর সাহসিকতার লোককথা

অনেক অনেক কাল আগে, এক গ্রামে বাস করত পদ্মা নামের এক কুমারী। সে ছিল নিঃসন্তান এক বৃদ্ধ দম্পতির পালিত সন্তান, যার রূপ ছিল যেন চাঁদের আলো দিয়ে গড়া তাকে সবাই ভালোবেসে ডাকত “চাঁদের পুতুল”। পদ্মার জন্ম হয়েছিল এক রহস্যময় রাত্রে, যখন পূর্ণিমার চাঁদ হঠাৎ করেই আকাশ থেকে উজ্জ্বল হয়ে নেমে এসেছিল নদীর ধারে।

পদ্মা বড় হতে থাকল, তার চোখে ছিল চন্দ্রালো, আর কণ্ঠে ছিল জাদু। সে গান গাইলে পাখিরা থেমে যেত, বাতাস থমকে থাকত। কিন্তু তার হৃদয় ছিল শূন্য, কারণ প্রতিদিন সে স্বপ্নে দেখত এক আগুনরঙা ঘোড়া, যার পিঠে বসে এক যুবক সূর্যকিরণে মোড়া।

একদিন পদ্মার দেখা স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিল। এক সকালে গ্রামের সীমানায় এসে দাঁড়ায় সেই আগুনঘোড়া। তার পিঠে সূর্যের মতো দীপ্তময় এক যুবক—তার নাম রথভান। সে এসেছিল দূরের আগ্নেয় পর্বত পেরিয়ে, স্বপ্নের ইশারায়। পদ্মাকে দেখেই সে বলে, “তুমি আমার নিয়তি—তুমি চাঁদের পুতুল, আর আমি সূর্যের ঘোড়া। আমাদের মিলনেই হবে ধরণীর ভারসাম্য।”

কিন্তু সহজ ছিল না তাদের যাত্রা। কারণ অন্ধকারের রাজা কালজয়ী চেয়েছিল পদ্মাকে তার জাদুপুরীতে বন্দি করতে। সে জানত, চাঁদ আর সূর্যের মিলন হলে তার অন্ধকার নেমে আসবে পৃথিবী থেকে।

এক অলৌকিক সন্ধ্যায় কালজয়ী তার বাহিনী নিয়ে আসে পদ্মাকে ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু রথভান সূর্যের ঘোড়ায় চড়ে চাঁদের পুতুলকে তুলে নেয়, আর এক মহাকাব্যিক যুদ্ধ শুরু হয় আকাশ আর পৃথিবীর মাঝে। চাঁদের আলো আর সূর্যের জ্যোতি একত্রিত হয়ে সৃষ্টি করে আলোয়ের ঢেউ, যেটি ধ্বংস করে কালজয়ীর অন্ধকার রাজ্য।

শেষে পদ্মা ও রথভান মিলে একটি পাহাড়চূড়ায় স্থাপন করে “আলোকপুরী” যেখানে সূর্য ও চাঁদের আলোয় সৃষ্টি হয় প্রতিটি নতুন দিন।

👉 ভালো লাগলে লাইক দিন ❤️, শেয়ার করুন 📤 আর অপেক্ষায় থাকুন পরবর্তী রূপকথার জন্য!

#চাঁদের_পুতুল #সূর্যের_ঘোড়া #বাংলার_রূপকথা #লোকগাথা #শেয়ারকরুন 💫