Home আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক বাজারে “ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড” হিসেবে দেশীয় চালকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ভারত

বৈশ্বিক বাজারে “ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড” হিসেবে দেশীয় চালকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ভারত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: নন-বাসমতি চাল রপ্তানিতে শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ হিসেবে ভারত সরকার চুক্তি নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি প্রতিটি টনে প্রতীকী ৮ রুপি ফি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক বাজারে দেশীয় চালকে “ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বর্তমানে স্থানীয় আমদানিকারকরা বিভিন্ন দেশে পাইকারিভাবে এসব চাল নিয়ে গিয়ে নিজস্ব ব্র্যান্ডে বিক্রি করায় ভারতীয় পরিচয় হারিয়ে যাচ্ছে।

বাসমতি চাল রপ্তানি খাত সাম্প্রতিক ফি বৃদ্ধিতে বিভক্ত হলেও নন-বাসমতি চালের তিনটি রপ্তানিকারক সমিতি সরকারের এই পদক্ষেপকে সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানিয়েছে।

রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সিজি-এর সভাপতি মুকেশ জৈন বলেন, “২৪ সেপ্টেম্বর নোটিফিকেশন জারির আগে অংশীজনদের আলোচনায় সবাই একমত হয়েছিলেন। নিবন্ধন ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে আরও স্বচ্ছতা আসবে।”

এর আগে এপিডা (APEDA) বাসমতি চাল রপ্তানি নিবন্ধন ফি ৩০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ৭০ রুপি করেছে। প্রাথমিকভাবে তা ১০০ রুপি করার প্রস্তাব থাকলেও আপত্তির কারণে কমানো হয়। তবে নন-বাসমতি ক্ষেত্রে মাত্র ৮ রুপি ফি আরোপ করায় রপ্তানিকারকরা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন।

ট্রেড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ট্রিয়া)-এর সভাপতি বি. ভি. কৃষ্ণ রাও বলেন, “বাসমতি খাত দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধন করছে। এবার নন-বাসমতিতেও ডাটা পাওয়া যাবে, যা রপ্তানি প্রবাহ ও ক্রেতা দেশগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।”

ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশন (আইআরইএফ)-এর সভাপতি প্রেম গার্গ বলেন, “এটি একটি প্রগতিশীল পদক্ষেপ। প্রতিটি টনে মাত্র ৮ রুপি ফি কোনো বোঝা নয়; বরং রাইস ট্রেড ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে অবদান। এর মাধ্যমে ভারতীয় চালের আন্তর্জাতিক বাজারজাতকরণ জোরদার হবে।”

গার্গ আরও জানান, এই ব্যবস্থা রপ্তানির প্রকৃত পরিমাণ ও গন্তব্যের ডাটাবেজ তৈরিতে সহায়তা করবে, যা নীতিনির্ধারণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের চাল বাণিজ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে। বিরোধ বা অর্থ পরিশোধজনিত জটিলতা দেখা দিলে নিবন্ধন রেকর্ডের ভিত্তিতে সমাধানের সুযোগ তৈরি হবে।

আইআরইএফ-এর আবেদনে এপিডা শিগগিরই একটি সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করবে, যেখানে রপ্তানিকারকদের নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজভাবে বোঝানো হবে।

মুকেশ জৈন জানান, সম্প্রতি ২ হাজার কনটেইনার নন-বাসমতি চাল বিভিন্ন দেশে আটকে যায়। এপিডার হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়। নতুন নিবন্ধন ব্যবস্থায় সঠিক ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে এমন সমস্যার সমাধান আরও সহজ হবে।