উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি,কুড়িগ্রাম: তিস্তা মহাপরিকল্পনায় টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “তিস্তা নিয়ে বাস্তবসম্মত মহাপরিকল্পনা করতে হবে। কুড়িগ্রামের মতো প্রান্তিক অঞ্চলের উন্নয়ন ছাড়া উন্নয়ন শব্দ অর্থহীন।”
আজ বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকের সামনে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “উন্নয়ন মানে শুধু ঢাকার উন্নয়ন নয়। যতদিন কুড়িগ্রামের প্রান্তিক মানুষের কাছে উন্নয়নের সুবিধা না পৌঁছায়, ততদিন উন্নয়নের বুলি আমরা মানব না।”
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো সেই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বহাল। মাফিয়াতন্ত্র, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস এখনো চলছে। এনসিপি সেই ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই লড়াই করতে গঠিত হয়েছে।”
এনসিপির এই পদযাত্রা বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর থেকে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পৌঁছায়। এরপর ত্রিমোহনী বাজার হয়ে ঘোষপাড়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকে এসে পথসভা করে দলটি।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক কৌলাশ চন্দ্র রবিদাস, আতিক মুজাহিদ ও সামান্তা শারমিন। সঞ্চালনা করেন সারজিস আলম।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “স্বৈরাচার আমাদের পথ বন্ধ করেছে, ধর্ষকরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করেছে, মসজিদ থেকে আলেমদের বের করে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে খুনি-দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই না দেওয়ার।”
সারজিস আলমের বক্তব্যে আসে ক্ষোভ, “খুনি হাসিনা ফেরাউনের মতো অত্যাচারী ছিলেন, আমরা তাকে সরিয়েছি। তবে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো ফেরাউন বাংলার মাটিতে না আসে, সে দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।”
সভা শেষে এনসিপি কুড়িগ্রাম-২ আসনের জন্য ড. আতিক মুজাহিদের নাম সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর পদযাত্রাটি নাগেশ্বরী হয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা ঘুরে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পুরো কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সামান্তা শারমিন প্রমুখ।