Home বিনোদন ‘তখন বুঝতেই পারিনি’ জেমি লিভারের শৈশবের দুঃস্বপ্ন, প্রশ্ন তুলছে নিরাপত্তা নিয়ে

‘তখন বুঝতেই পারিনি’ জেমি লিভারের শৈশবের দুঃস্বপ্ন, প্রশ্ন তুলছে নিরাপত্তা নিয়ে

জেমি লিভার

নারী ও নিরাপত্তা: শৈশবের ছায়া

বিনোদন ডেস্ক: নারী নিরাপত্তা কি কেবল বড়দের সমাজে আলোচ্য বিষয়? নাকি সেই ভয়, সেই ক্ষত—অনেক আগেই, শৈশবেই শুরু হয়? বলিউডের কিংবদন্তি কৌতুকশিল্পী জনি লিভারের মেয়ে জেমি লিভারের শৈশবের অভিজ্ঞতা ফের একবার এই প্রশ্ন তোলায় বাধ্য করছে।

ছোটবেলায় স্কুল বাসে যাতায়াত করতেন জেমি। সবার মতোই দিনের বড় একটি সময় ওই বাসেই কাটত তাঁর। অথচ সেখানেই গড়ে উঠেছিল এক গভীর দুঃস্বপ্নের ভিত্তি। জেমি বলেন, “স্কুলবাস তো শিশুদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জায়গা। অথচ সেই জায়গাই আমার মনে চিরকালীন ভয় তৈরি করে দিয়েছে।”

তিনি জানান, বাসের কন্ডাক্টর শিশুদের সঙ্গে অনভিপ্রেত আচরণ করতেন। “বাচ্চাদের কেউ বুঝতো না কী ভাল, কী খারাপ। একদিন সেই ব্যক্তি আমাকে আচমকাই টেনে নেয়, জড়িয়ে ধরে। আমি বুঝে উঠতে পারিনি, এটা কেন ঘটছে। কী ভুল করছি আমি? তখন বোঝার বয়স ছিল না,” বলেন জেমি।

বছর পেরিয়ে এসেও সেই স্মৃতি ভুলতে পারেননি তিনি। বলেন, “শিশুরা তো বুঝতেই পারে না, তাদের শরীরের গণ্ডি কোথায়। কোন স্পর্শ আদর, আর কোনটা ক্ষতি—সেটা যদি কেউ না শেখায়, তাহলে তারা ভয় ও লজ্জার ভেতরেই হারিয়ে যায়।”

এই ভয় শুধু জেমির নয়, এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে সমাজের অনেক নারীর। অনেকেই বলেন না, অনেকেই চুপ থাকেন আজীবন। অথচ এই ক্ষত তৈরি হয় তখনই, যখন শিশুরা বোঝে না কী হচ্ছে তাদের সঙ্গে।

জেমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, শিশুদের প্রথম থেকেই ‘ভাল স্পর্শ’ ও ‘খারাপ স্পর্শ’ বোঝানো উচিত। “এটাই তাদের নিরাপত্তার প্রথম পদক্ষেপ। ওদের জোর দিতে শেখাতে হবে, ভয় পেলে পাশে থাকার মানুষ চিনিয়ে দিতে হবে। সমাজ, পরিবার, স্কুল—সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

এই আত্মকথন শুধু এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা নয়, বরং সমাজের প্রতিচ্ছবি। একেকটি কণ্ঠস্বরে শোনা যাচ্ছে আরও হাজারো কণ্ঠের চাপা কান্না।