কৃত্রিম সংকট তৈরি করে টিকিটের দাম বাড়ানোর অভিযোগে দণ্ডিত
এভিয়েশন ডেস্ক: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এয়ার টিকিটের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সি গ্রুপ বুকিংয়ের নামে চাহিদাসম্পন্ন রুটের টিকিট ব্লক রেখে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছিল। এই এজেন্সিগুলো বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে টিকিট মজুতদারি, কালোবাজারি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে লিপ্ত ছিল।
বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৯ ধারার বিধান অনুযায়ী অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোকে আত্মপক্ষ সমর্থনে জবাব দাখিলের সুযোগ দেওয়া হয়। শুনানিতে মাত্র দুটি এজেন্সি উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র দাখিল করেছে। বাকি ১১টি এজেন্সি হাজির না হওয়ায় ও কোনো চাহিদার তথ্য না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় প্রমাণিত হয়।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া এজেন্সিগুলোর মধ্যে রয়েছে: কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, সিটিকম ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি, আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, মেঘা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার সার্ভিস, মাদার লাভ এয়ার সার্ভিস, জেএস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস, হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ফোর ট্রিপ লিমিটেড, কিং এয়ার এভিয়েশন, বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট, সাদিয়া ট্রাভেলস, আত-তাইয়ারা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল এবং এনএমএসএস ইন্টারন্যাশনাল।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব একেএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এজেন্সিগুলোর নিবন্ধন বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব ট্রাভেল এজেন্সি, জিডিএস, জিএসএ বা এয়ারলাইন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রণালয় সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে জানিয়েছে, নিবন্ধন বাতিল হওয়া এজেন্সিগুলো থেকে এয়ার টিকিট কেনাবেচাসহ সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।
