বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে শুধু শিক্ষার সার্টিফিকেট নয়, দক্ষতার ভিত্তিতেই তৈরি হচ্ছে ক্যারিয়ারের পথ। আর এই দক্ষতার একটি প্রধান শাখা হয়ে উঠছে ডিজিটাল মার্কেটিং। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এই বিপণন কৌশল তরুণদের জন্য উন্মোচন করেছে এক নতুন সম্ভাবনার জগৎ—যেখানে নেই চাকরির সীমাবদ্ধতা, নেই নির্দিষ্ট সময়ের বাধ্যবাধকতা।
ডিজিটাল মার্কেটিং কী?
ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য ও সেবা প্রচার ও বিক্রির প্রক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সার্চ ইঞ্জিন, ই-মেইল, মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট—এসবের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোই এর মূল লক্ষ্য।
কেন এই দক্ষতা তরুণদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে বড় অংশ তরুণ। তারা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায় ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মতো মাধ্যমে। এই মাধ্যমগুলোর পেছনে যে শক্তিশালী বিপণন কাঠামো কাজ করে, সেটিই ডিজিটাল মার্কেটিং। তরুণরা চাইলে এই মাধ্যমেই আয় করতে পারে, গড়ে তুলতে পারে নিজস্ব পেশা বা ব্যবসা।
বাস্তব চিত্র ও সম্ভাবনা
বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই হাজারো তরুণ ফেসবুক পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করছে, ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আয়ের পথ খুলেছে, কিংবা আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। কেউ কাজ করছে ছোট ব্যবসার অনলাইন প্রচারে, কেউ আবার স্থানীয় পণ্যের জন্য গুগল বিজ্ঞাপন পরিচালনা করছে।
আন্তর্জাতিক বাস্তবতা
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং বহু আগেই প্রতিষ্ঠিত শিল্প। গুগল, অ্যামাজন, মেটা, টিকটক এসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল বিপণনেই যায় শত কোটি ডলারের বাজেট। ইউরোপ ও আমেরিকায় বহু তরুণ শুধু এই দক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেখানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
কিভাবে তরুণরা এটি শিখবে?
১. অনলাইন কোর্স: বাংলাদেশেই এখন অনেক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
২. ইউটিউব ও ফ্রি রিসোর্স: ইংরেজি বা বাংলা ভাষায় হাজারো বিনামূল্যের ভিডিও ও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
৩. প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট: নিজেই পেজ খুলে, ওয়েবসাইট বানিয়ে শিখে নেওয়া যায় কীভাবে গ্রাহক বাড়ানো যায়।
৪. ফ্রিল্যান্সিং: কাজ শেখার পর আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডটকমের মতো প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ নেওয়া সম্ভব।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন
যদি এই খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ ও প্রকৃত সহায়তা দেওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশের লাখো তরুণ শুধু নিজের জন্যই নয়, দেশীয় অর্থনীতির জন্যও এক বিশাল অবদান রাখতে পারবে। ডিজিটাল বিপণন হতে পারে কর্মসংস্থানের বিকল্প শক্তি।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে। আর এই হাতে যদি থাকে ডিজিটাল দক্ষতা, তাহলে দেশের উন্নয়নের গতিও হবে অনেক দ্রুত।
📲 আপনিও কি ডিজিটাল দুনিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে চান?
আজই শুরু করুন শেখা—একটি অনলাইন কোর্স, ইউটিউব ভিডিও বা নিজের ফেসবুক পেজ দিয়ে!
✨ দক্ষতা অর্জন করুন, নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই গড়ুন।
👍 যদি প্রতিবেদনটি ভালো লাগে, তাহলে লাইক দিন
📢 বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন—তারা যেন সম্ভাবনার এই পথ সম্পর্কে জানতে পারে
💬 আপনার মতামত বা অভিজ্ঞতা থাকলে কমেন্ট করুন নিচে!
🚀 একসঙ্গে এগিয়ে যাই ডিজিটাল সম্ভাবনার পথে!