বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা এক সন্দেহভাজন আসামি শাহাদত হোসেন (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহতের পরিবারের দাবি, পুলিশি নির্যাতনের ফলে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যু ও হাসপাতালের পরিস্থিতি
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদত হোসেনের মৃত্যু হয়। নিহত শাহাদত সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের মৃত খলিল হোসেনের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হেমাদ্রি শেখর সাহা জানান, “সিভিল পোশাকে একদল পুলিশ সদস্য বিকেলে শাহাদতকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি হওয়ার সময় তার হাতের আঙুলে ক্ষতচিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে তার আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন সমস্যা ছিল। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।”
পরিবারের অভিযোগ
নিহতের ভাই ইসমাইল বলেন, “আমার ভাইকে ডিবি পুলিশ নির্যাতন করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশি নির্যাতনের কারণে তিনি মারা গেছেন।”
পুলিশের বিবৃতি
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন জানিয়েছেন, “গত ১২ নভেম্বর উল্লাপাড়ার বগুড়া-পাবনা মহাসড়কের চৌকিদহ সেতুর নিচ থেকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর এলাকার এক অটোরিকশাচালক আমিনুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে লাশ ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। নিহত শাহাদত ওই ঘটনার সন্দেহভাজন।”
তিনি আরও জানান, “ছিনিয়ে নেওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা উদ্ধারের জন্য গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া পুলিশ শাহাদতকে ধরে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি পূর্ব থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
এ ঘটনায় মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ফলাফলের ওপর তদন্তের দিকনির্দেশনা নির্ভর করছে।
