আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের জন্য তাঁকে আলাদা দুটি পক্ষ মনোনয়ন দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্য বাডি কার্টার ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যস্থতার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর উদ্যোগেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সহায়ক হয়।
অন্যদিকে, ২০২৬ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান সরকার। ইসলামাবাদের ভাষ্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময় ট্রাম্প কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করেন এবং তাঁর প্রচেষ্টাতেই যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “ট্রাম্পের শান্তিপূর্ণ ভূমিকাই দুই দেশের মধ্যে স্থিতি রক্ষায় কার্যকর হয়েছে।”
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কাউকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া মানেই সে ব্যক্তি পুরস্কার পাচ্ছেন—তা নয়। প্রতি বছর হাজারো মনোনয়ন জমা পড়ে। নরওয়ের নোবেল কমিটি দীর্ঘ মূল্যায়ন ও গোপন যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
এদিকে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট সদস্য ওলেক্সান্ডার মেরেজকো, যিনি গত বছর ট্রাম্পকে মনোনীত করেছিলেন, সম্প্রতি সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তাঁর ভাষায়, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে ট্রাম্প প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এখনো পর্যন্ত নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে ট্রাম্পের মনোনয়ন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।