আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানকে কেন্দ্র করে এক দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান। সোমবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের শাসকবদলের পক্ষ নিলেও মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় জানালেন, তিনি ইরানে শাসক পরিবর্তন চান না।
হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “যদি আগের দিন বলে থাকি, তবে বলেছি। কিন্তু আমি শাসকবদল চাই না। আমি চাই, যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি শান্ত হোক।” ট্রাম্প আরও বলেন, “যখন শাসক পরিবর্তন হয়, তখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আমরা সেই বিশৃঙ্খলা চাই না।”
তবে সোমবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের ঠিক আগে ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি পোস্ট করে লেখেন, “ওখানে কেন শাসক পরিবর্তন হবে না? ইরানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী যদি দেশটিকে ‘মেক ইরান গ্রেট এগেন’ করতে না পারে, তবে তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়?”
এই পোস্ট ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে— তবে কি যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েল যৌথভাবে ইরান থেকে আয়াতোল্লা আলি খামেনেই-র শাসকগোষ্ঠীকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে দ্রুত সরব হয় পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটি হেগশেথ বলেন, “এটি কোনও শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান নয়। আমাদের লক্ষ্য ইরানের পরমাণু অবকাঠামো।”
এছাড়াও ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে মঙ্গলবার জানান, “ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির অনুমতি দেওয়া যাবে না। ন্যাটোর সব দেশ এই বিষয়ে একমত। আমরা ইরানকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও রুটে অভিযোগ করেন, “ইরান রাশিয়াকে সামরিক ড্রোন সরবরাহ করেছে। সেই ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের বসতি এলাকাগুলিতে হামলা চালানো হচ্ছে।”
তবে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়গুলোর উপর আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।