Home আন্তর্জাতিক ইরানের ভিতরে শত্রুপক্ষের ড্রোন কারখানা শনাক্ত

ইরানের ভিতরে শত্রুপক্ষের ড্রোন কারখানা শনাক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির ভেতরে একটি গোপন ড্রোন তৈরির কারখানা ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উপাদান শনাক্ত করেছে। এ ঘটনায় দুইজন সন্দেহভাজন মোসাদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানি পুলিশ মুখপাত্র সাঈদ মন্তাজেরোলমাহদি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানী তেহরানসহ একাধিক প্রদেশে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৪টি শত্রুপক্ষের ড্রোন, তিন তলা বিশিষ্ট একটি গোপন কারখানা, ২৩টি ড্রোন উপাদান, ২০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক এবং একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। ইরান দাবি করছে, এসব উপাদান ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ড্রোন সেল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ড্রোন ও অস্ত্র ব্যবহার করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা ছিল। তদন্তে দেখা গেছে, গোপন কারখানায় প্রযুক্তিগত ড্রোন প্রস্তুত, সেগুলোর প্রোগ্রামিং ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করা হতো।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে এক যৌথ সামরিক অভিযানে ইরানের অন্তত ১০০টির বেশি সামরিক ও গবেষণা স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরানও পাল্টা ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে। ইসরায়েলের দাবি, তারা অধিকাংশ ড্রোন প্রতিহত করেছে।

সাম্প্রতিক এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ইরান বলছে, এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। তেহরানে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দূতাবাস হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

এই মুহূর্তে ইরানজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আকাশপথ, সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইরান সরকার জানিয়েছে, যদি পুনরায় এরকম হামলার চেষ্টা হয়, তাহলে তা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। ড্রোন ও সাইবার অস্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত এই হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল আগামী দিনে আরও জটিল হয়ে উঠবে।