বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
তলব শব্দটি কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা। নিচে কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
তলব মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ ডাকা, আহ্বান করা বা হাজির হতে বলা। সাধারণ ভাষায় কাউকে ডেকে নেওয়াকে তলব বলা হলেও কূটনৈতিক ভাষায় এর অর্থ অনেক বেশি নির্দিষ্ট ও সংবেদনশীল।
কূটনৈতিক পরিভাষায় তলব বলতে বোঝায়, কোনো রাষ্ট্র অন্য একটি রাষ্ট্রের কূটনীতিককে, সাধারণত রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেকে পাঠানো। এটি সব সময়ই একটি আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ এবং নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়।
তলবের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো
এক. কোনো ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া
দুই. আপত্তি বা অসন্তোষ জানানো
তিন. সতর্কবার্তা দেওয়া
চার. কূটনৈতিক প্রতিবাদ বা নোট হস্তান্তর করা
সাধারণত তলব করা হয় যখন
কোনো দেশের বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়
কোনো কূটনীতিকের আচরণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী হয়
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে হঠাৎ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়
কূটনৈতিক ভাষায় তলবকে সরাসরি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বলা হয় না, তবে এটি একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশকে জানানো হয় যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
তলবের গুরুত্ব স্তরভেদে ভিন্ন হতে পারে। কখনো এটি নরম ভাষায় উদ্বেগ জানানো পর্যন্ত সীমিত থাকে। আবার কখনো কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়।
সংবাদ প্রতিবেদনে প্রায়ই বলা হয়
“রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে”
এক্ষেত্রে বোঝায়, কূটনৈতিক প্রটোকল মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংক্ষেপে বলা যায়, কূটনৈতিক ভাষায় তলব হলো রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একটি আনুষ্ঠানিক ও তাৎপর্যপূর্ণ আহ্বান, যার মাধ্যমে অসন্তোষ, প্রতিবাদ বা ব্যাখ্যার দাবি সুসংহত ও শালীন কূটনৈতিক কাঠামোর মধ্যে প্রকাশ করা হয়।
এ ধরণের আরও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ভিজিট করুন www.businesstoday24.com










