বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ভাদ্র মাসের প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সকাল থেকেই সূর্যের তীব্র তাপ, দুপুরের দিকে তা প্রায় সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলেও উচ্চ আর্দ্রতার কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
এই তালপাকানো গরমে কর্মজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন। সকালবেলা অফিসগামীদের ঘেমে নাকাল অবস্থা দেখা যায়। রিকশাচালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষেরা রোদে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা মাঠ ও রাস্তার পাশে পানীয় পানি বিক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রশিদ বলেন, “এমন গরম অনেক দিন দেখা যায়নি। ভাদ্র মাসে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও এবার যেন পুরোপুরি উধাও হয়ে গেছে। রাতে ঘুমাতে গেলেও গরমে শরীর ভিজে যায়।” অন্যদিকে, নগরীর হাটহাজারী ও পটিয়া উপজেলার মানুষ জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে রাতের ঘুম আরও কষ্টকর হয়ে উঠছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এই সময়ে হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করা, বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করা ও অতিরিক্ত রোদে কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দুই-একদিন গরমের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে হঠাৎ করে বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। ভাদ্র মাসের শেষদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।
ভাদ্রের এই প্রখর গরমে সাধারণ মানুষ যেন একপ্রকার অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, “এখন বৃষ্টি ছাড়া রেহাই নেই।” শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে গণপরিবহনের ভেতর—সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া।