Home অন্যান্য বিশ্বের সেরা ব্রেকফাস্ট এখন তুরস্কের কাহভালতি

বিশ্বের সেরা ব্রেকফাস্ট এখন তুরস্কের কাহভালতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের নানান প্রান্তের জনপ্রিয় সকালের খাবারকে পিছনে ফেলে এবার ‘বিশ্বসেরা ব্রেকফাস্ট’র স্বীকৃতি পেয়েছে তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী নাশতা ‘কাহভালতি’। স্বাদ ও বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে বিখ্যাত এই খাবারটি সম্প্রতি ভ্রমণ ও খাবারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গাইড টেস্ট অ্যাটলাস–এর জরিপে প্রথম স্থান দখল করে নেয়।

প্রচলিতভাবে, তুর্কি কাহভালতি একক কোনো পদ নয়; বরং এটি একাধারে একাধিক উপকরণ, সংস্কৃতি, ও সামাজিক রীতির মিলিত রূপ। এতে থাকে নানা ধরনের চিজ, ডিম, রুটি, মিষ্টি, অলিভ, তাজা সবজি, এবং তুরস্কের বিখ্যাত চা—যা খাওয়ার টেবিলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

কি কি থাকে এই বিশ্বসেরা নাশতায়?
একটি পূর্ণাঙ্গ কাহভালতি টেবিলে থাকে:

  • তিন বা ততোধিক ধরনের চিজ, যেমন বেয়াজ পেইনির (সাদা চিজ), কাশার, এবং সিভিল পেইনির
  • রুটি ও পেস্ট্রি: সিমিট, পিদে, গোজলেমে, বোরেক
  • ডিমের নানা রূপ: মেনেমন (ডিম ও টমেটো-সবজি ভাজি), চিলবির (দই ও বাটারসহ পোচড ডিম), অথবা সহজভাবে ফ্রাইড ডিম
  • মাংসজাত পদের মধ্যে: সুকুক (তুর্কি সসেজ) ও পাস্তুর্মা (মসলা লেপা শুকনো মাংস)
  • মিষ্টি ও স্প্রেড: মধু, কায়মাক (ঘন ক্রিম), আখুকা (লালমরিচ ও আখরোট পেস্ট), তহিনি-পেকমেজ (তিল ও আঙ্গুর সিরাপ), ও নানা স্বাদের জ্যাম
  • তাজা সবজি ও জলপাই: শসা, টমেটো, মরিচ, কালো-সাদা জলপাই

এই নাশতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটি একা বসে খাওয়ার জন্য নয়। বরং এটি এক সামাজিক অভিজ্ঞতা, যেখানে পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুরা একসাথে বসে দীর্ঘ সময় ধরে খাবার উপভোগ করে।

বিশ্বজয় কাহভালতির
টেস্ট অ্যাটলাসের এই জরিপে কাহভালতি পেয়েছে ৪.৮ রেটিং (৫ এর মধ্যে)। শুধু তাই নয়, তুরস্কের আরও ছয়টি পদ শীর্ষ ৫০–এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাতমের (৯ম), লেন্টিল স্যুপ (১২তম), বোরেক (২৪তম), মধু ও কায়মাক (২৮তম), ও গোজলেমে (৪৬তম)।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তুর্কি কাহভালতির জনপ্রিয়তার মূল কারণ এর বৈচিত্র্য, পুষ্টি, ঐতিহ্য ও সামাজিকতা। এটি শুধুই এক প্লেট খাবার নয়, বরং তুর্কি সংস্কৃতির এক গভীর প্রতিফলন।