আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ হামলার জবাবে ইরান পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েলের একটি কৌশলগত ঘাঁটিতে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তেল আবিব ও আশপাশের এলাকা। ইরানের এই পাল্টা হামলাকে বিশ্লেষকরা ‘তুরুপের তাস’ হিসেবেই দেখছেন—যেখানে শুধুই সামরিক জবাব নয়, বরং এটি রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। ঘটনাটিকে ঘিরে একদিকে যেমন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যূহ সক্রিয় হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কায়।
ইরান সরাসরি তাদের প্রথম Salvo ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের দিকে। রবিবার ভোররাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালানো হয়। হামলার তীব্রতায় তেল আবিব ও হাইফার আকাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, কাঁপে জনপদ। ইরানের পক্ষ থেকে একে ‘প্রতিরোধমূলক পাল্টা আঘাত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) জানিয়েছে, “আমাদের ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জবাবে আমরা ন্যায্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। এই হামলা একটি শুরু, প্রয়োজন হলে আরও কঠোর জবাব আসবে।” এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কিছু মিসাইল ভূপাতিত করতে সক্ষম হলেও কয়েকটি হামলা সফলভাবে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। ফলে সামরিক প্রস্তুতি আরও জোরদার করা হয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় চলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা শুধু একক ঘটনা নয়—বরং এটি এক ভয়াবহ সংঘর্ষের সূচনা হতে পারে, যার প্রভাব গোটা অঞ্চল ছাড়িয়ে বিশ্ব রাজনীতিতেও পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ হামলার জবাবে ইরান পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েলের একটি কৌশলগত ঘাঁটিতে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তেল আবিব ও আশপাশের এলাকা। ইরানের এই পাল্টা হামলাকে বিশ্লেষকরা ‘তুরুপের তাস’ হিসেবেই দেখছেন—যেখানে শুধুই সামরিক জবাব নয়, বরং এটি রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। ঘটনাটিকে ঘিরে একদিকে যেমন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যূহ সক্রিয় হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কায়।
এবার ভয়ঙ্কর রূপে প্রত্যাঘাত শুরু করল ইরান। ইতিমধ্যেই ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইরানের অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন। যদিও তাতে ইরানের বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘শত্রুদের সব ষড়যন্ত্রের মাঝেও আমরা ইরানি জাতিকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, হাজার হাজার বিপ্লবী ও উৎসাহী বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা এই কর্মসূচির অগ্রগতিকে থামানো যাবে না। আমাদের পরমাণু কর্মসূচি অনেক শহিদের রক্তে গড়া, তা এগিয়ে যাবে।’

শুধু তাই নয়, ইরান জানিয়েছে, তাদের পরমাণুকেন্দ্রগুলি থেকে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না। ফলে ওই এলাকার মানুষ সুরক্ষিত রয়েছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছে ইরান। এখানেই শেষ নয়, ইরানের পরমাণু কেন্দ্র থেকে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থাও।

এবার ইরান তাদের প্রথম Salvo ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে। এর আগে রবিবার ভোরে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ার সংঘাতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ৩০টিরও বেশি Salvo ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরপরই ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে সাইরেন বাজতে শুরু করে এবং জেরুজালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে আসা মিসাইল আটকানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েল মার্কিন হামলার পর তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা, Magen David Adom (MDA) অনুযায়ী, ইরানের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। The Times of Israel অনুযায়ী, ইরান থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল হাইফা শহরে আঘাত হানে, যদিও সেখানে কোনও সাইরেন বাজেনি। ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে প্রবল শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং মেডিক্যাল টিম বিভিন্ন দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে।

এদিকে, ইরানে হামলা চালিয়ে এবার নিজের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা ইরানের হামলার ভয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনও অন্তর্ভুক্ত, উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ইরানিয়ান পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় একটি তীব্র মোড় নিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তারা ইরানে ঘটতে থাকা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, আমরা নিউইয়র্কের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক স্থাপনাগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করছি এবং আমাদের ফেডারেল অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করছি।”

ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে আমেরিকার উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব। পশ্চিম এশিয়ায় থাকা প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক ও সেনা এ বার থাকবে আমাদের নিশানায়।’

আমেরিকার হামলার পরই ইরানের নেতা হোসেইন শারিয়াতমাদরি তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন আমাদের বিলম্ব না করে পদক্ষেপ নেওয়ার পালা। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, আমাদের বাহরাইনে মার্কিন নৌবহরের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে হবে এবং একইসঙ্গে আমেরিকান, ব্রিটিশ, জার্মান এবং ফরাসি জাহাজের জন্য হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে হবে।’ এরপরই ইজরায়েলের দিকে মারাত্মক আঘাত করতে শুরু করেছে ইরান।