Home সারাদেশ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের ফাঁদে পড়ে প্রবাসীর ৯ লাখ টাকা প্রতারণা

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের ফাঁদে পড়ে প্রবাসীর ৯ লাখ টাকা প্রতারণা

ছবি: এআই

নীলফামারী থেকে এক প্রতারক আটক

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, যশোর: ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পরিচয়ের সূত্র ধরে ‘থাইল্যান্ডের লটারি’ জেতানোর প্রলোভনে পড়ে প্রায় ৯ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক সৌদি প্রবাসী যুবক। দীর্ঘদিন ধরে ফাঁদ পাতার পর এই অর্থ হাতিয়ে নেয় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে নীলফামারী থেকে রনি ইসলাম নামে চক্রের এক সদস্য আটক হয়েছে।

যশোর ডিবি জানায়, ১৪ জুন রাতে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়াল পুকুর গ্রামে অভিযানে গিয়ে রনিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার তথ্য মিলেছে।

ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী যুবকের নাম সুজন ইসলাম। জানা গেছে, প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে সম্পর্ক গভীর হয় এবং সেই সুবাদে সুজনের বিশ্বাস অর্জন করে প্রতারকরা।

পরে প্রতারকরা জানায়, থাইল্যান্ডে একটি বড় লটারিতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ৮৪ লাখ টাকা জিতে দিয়েছেন তারা, যা সুজনের নামে তুলে দেয়া হবে। তবে এই অর্থ পেতে হলে আগাম ‘ভ্যাট’ বাবদ ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানায় চক্রটি।

এই আশায় পড়ে সুজন ইসলাম চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময়ে তার শ্বশুর বিল্লাল হোসেনের মাধ্যমে বিকাশে মোট ৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা পাঠান। কিন্তু প্রতারকরা টাকা পাওয়ার পর আরও অর্থ দাবি করতে থাকে। তখন সন্দেহ তৈরি হলে তারা পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেই নিশ্চিত হন।

ঘটনার পর গত শুক্রবার সুজন ইসলামের শ্বশুর বিল্লাল হোসেন যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা গ্রহণের পর তদন্তে নামে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিবু মণ্ডল ও এসআই বিপ্লবের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৪ জুন রাতেই রনিকে আটক করা হয়। আটক রনিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে ডিবি।

সতর্কতা জরুরি:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের লোভনীয় লটারি কিংবা বিদেশি পুরস্কারের প্রলোভনে পড়ে কারো সাথে অর্থ লেনদেন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। অপরিচিত ফেসবুক পরিচয়ের ভিত্তিতে বিশ্বাস করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এ বিষয়ে সতর্ক না হলে সহজেই প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন যেকোনো ব্যক্তি।