Home বিনোদন ছুরি-কাঁচি নয়, দীপিকার সৌন্দর্যের রহস্য ‘হাইফু থেরাপি’

ছুরি-কাঁচি নয়, দীপিকার সৌন্দর্যের রহস্য ‘হাইফু থেরাপি’

দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি সংগৃহীত

বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, যিনি শুধু অভিনয়েই নয়, তার স্টাইল স্টেটমেন্ট এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্যও পরিচিত, সম্প্রতি নিজের ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে বিশেষ ধরনের নন-ইনভেসিভ থেরাপি করিয়েছেন। ‘সিংহম এগেন’ ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই তিনি ‘হাই ইনটেনসিটি ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড’ (হাইফু) থেরাপি নেন।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, যিনি শুধু অভিনয়েই নয়, তার স্টাইল স্টেটমেন্ট এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্যও পরিচিত, সম্প্রতি নিজের ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে বিশেষ ধরনের নন-ইনভেসিভ থেরাপি করিয়েছেন। ‘সিংহম এগেন’ ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই তিনি ‘হাই ইনটেনসিটি ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড’ (হাইফু) থেরাপি নেন।

এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা স্পষ্ট করে বলেন, তিনি সার্জারির মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পক্ষে নন, কারণ এতে মুখের স্বাভাবিক কাঠামো বদলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাঁর মতে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সংরক্ষণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি বেছে নিয়েছেন নন-ইনভেসিভ ট্রিটমেন্ট, যা কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং কার্যকর।

হাইফু থেরাপি কীভাবে কাজ করে?

হাইফু হলো একধরনের উন্নত প্রযুক্তি, যা ছুরি-কাঁচি ছাড়াই ত্বকের গভীরে কাজ করে। আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গের সাহায্যে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে বলিরেখা ও ঢিলে হয়ে যাওয়া ত্বক মসৃণ করে। মুখ ছাড়াও গলা, হাত, বুক এবং ঊরুতেও এই থেরাপি প্রয়োগ করা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চামড়ার ঝুলে যাওয়া এবং বলিরেখার সমস্যা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব এই পদ্ধতিতে।

ত্বক চিকিৎসক ড. শরিফা চৌসের মতে, হাইফু থেরাপি বোটক্স বা ফিলারের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। বোটক্স বা ফিলারে ত্বকের অবাঞ্ছিত পরিবর্তন স্থায়ী হয়ে যেতে পারে, তবে হাইফুতে এমন ঝুঁকি তুলনামূলক কম। ভুল প্রয়োগ হলেও পরবর্তীতে শুধরে নেওয়া সম্ভব।

দীপিকা: সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক

দীপিকা পাড়ুকোন শুধু বলিউডেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও তার পরিচিতি ছড়িয়ে দিয়েছেন। ‘পদ্মাবত’, ‘ছপাক’, ‘পিকু’, ‘যেহেমি’ প্রভৃতি ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ২০১৮ সালে ‘XXX: Return of Xander Cage’ দিয়ে হলিউডেও পা রাখেন তিনি। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তাঁর উদ্যোগ ‘Live Love Laugh Foundation’ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।

চল্লিশের কোঠায় পৌঁছে দীপিকা আজও যেভাবে নিজের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতন রয়েছেন, তা অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘ত্বকের সৌন্দর্য কেবল বাইরের বিষয় নয়, এটি আত্মবিশ্বাসেরও প্রতিচ্ছবি।’’