Home কলকাতা দুর্গাপুরে নির্যাতিতা ছাত্রীর সহপাঠীর কক্ষে যা পাওয়া গেল….

দুর্গাপুরে নির্যাতিতা ছাত্রীর সহপাঠীর কক্ষে যা পাওয়া গেল….

ছবি এ আই
কৃষ্ণা বসু, কলকাতা: দুর্গাপুরে গণধর্ষণের অভিযোগে নতুন মোড় নিল তদন্ত। পুলিশ এখন ‘নির্যাতিতা’ ডাক্তারি ছাত্রীর সহপাঠী-বন্ধুকে কেন্দ্র করে তল্লাশি ও জেরার মাধ্যমে ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছে। পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরি আগেই জানিয়েছিলেন, সহপাঠী সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হওয়া যুবককে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের নির্দেশে তাঁকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণীকে নির্যাতনের স্থান থেকে কন্ডোম উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া, যুবকের হস্টেলের ঘর থেকে মোট ১১টি কন্ডোম পাওয়া গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত যুবকের বয়ান অসঙ্গতির কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় তোলা হয়েছে। তার বয়ান এবং আগে গ্রেফতারকৃত পাঁচ জনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলটি ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে। পাকা রাস্তা থেকে একটি মাটির রাস্তা বের হয়ে প্রায় ১০০ ফুট এগোলে তা দুই ভাগে বিভক্ত হয়। একপাশের সামান্য চওড়া রাস্তা শ্মশান ও মন্দিরের দিকে যায়, আর সঙ্কীর্ণ রাস্তা গ্রামে চলে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে রাতে অপরাধের ঘটনা ঘটে, তা এই সঙ্কীর্ণ রাস্তায় সংঘটিত হয়। পুলিশ ঘটনার পরই ওই এলাকা ঘিরে রেখেছিল এবং বৃহস্পতিবার সেটি আরও ৫০ মিটার সম্প্রসারিত করা হয়েছে।

তদন্তে ফরেন্সিক দলকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। নমুনা সংগ্রহের সময় উদ্ধার করা কন্ডোমটি অব্যবহৃত ছিল।

সূত্রের খবর, গ্রেফতার যুবক মালদহের বাসিন্দা। তাঁর বাবা কংগ্রেসের নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের পরিবার নির্মাণ সামগ্রী, মাছ ও আমের ব্যবসা পরিচালনা করে। নির্যাতিতার বাবা শুরু থেকেই যুবককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

পুলিশ জানাচ্ছে, তদন্ত এখনও চলছে এবং নতুন তথ্য প্রকাশের জন্য তারা সর্তক রয়েছেন।