ওজন কমানো কিংবা সুস্থ থাকার জন্য হাঁটার গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে একটানা দীর্ঘ সময় হাঁটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। আবার অনেকে বয়সজনিত কারণে বা হাঁটু-সংক্রান্ত সমস্যার জন্য বেশি ক্ষণ হাঁটতে পারেন না। এদের জন্যই নতুন করে আলোচনায় এসেছে এক কার্যকর পদ্ধতি ‘মাইক্রো-ওয়াকিং’।
হেলথ ডেস্ক:
ওজন কমানো কিংবা সুস্থ থাকার জন্য হাঁটার গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে একটানা দীর্ঘ সময় হাঁটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। আবার অনেকে বয়সজনিত কারণে বা হাঁটু-সংক্রান্ত সমস্যার জন্য বেশি ক্ষণ হাঁটতে পারেন না। এদের জন্যই নতুন করে আলোচনায় এসেছে এক কার্যকর পদ্ধতি ‘মাইক্রো-ওয়াকিং’।
এটি এমন এক ধরনের হালকা ব্যায়াম, যেখানে একটানা হনহন করে হাঁটার বদলে ছোট ছোট সময় ধরে বিরতি নিয়ে হাঁটা হয়। যেমন ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড হাঁটার পর ২-৩ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া, তারপর আবার হাঁটা। দিনে কয়েকবার এভাবে হাঁটলেই শরীর ও মনের ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়বে।
ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুপ আচার্যের মতে, “যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না, তাঁদের জন্য মাইক্রো-ওয়াকিং একটি চমৎকার উপায়। এতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে না, বরং ধীরে ধীরে অভ্যাস গড়ে ওঠে।” বিশেষত যাঁদের হাঁটুতে ব্যথা, হাঁপানি বা হৃদ্রোগ রয়েছে, তাঁদের জন্য এই পদ্ধতিতে হাঁটলে ঝুঁকি কম এবং উপকার অনেক।
এই পদ্ধতিকে ঘিরে পাবমেডে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, হার্টের রোগীদের জন্য মাইক্রো-ওয়াকিং নিরাপদ ও কার্যকর। কারণ এতে হাঁটার সময় হৃদ্পিণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না, আবার শরীরচর্চাও হয়।
প্রথাগত হাঁটাহাঁটির মতো মাইক্রো-ওয়াকিংয়ে কোনো গতি নির্ধারিত নয়। ধীরে ধীরে হাঁটলেও চলবে, তবে বিরতির সময় যেন ১০-১৫ মিনিটে না গড়ায়, সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে পায়ের গতি মেলানো। যেমন—শ্বাস নেওয়ার সময় ৪টি পা ফেলা, শ্বাস ছাড়ার সময় আর ৪টি। এভাবে হাঁটলে মনঃসংযোগ বাড়ে, স্নায়বিক প্রশান্তি আসে এবং শরীরেও কার্যকর কসরত হয়। এতে ‘হ্যাপি হরমোন’ ক্ষরণ বাড়ে, যা মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।
যাঁরা ভাবছেন, শরীরচর্চার সময় নেই বা হাঁটতে ক্লান্ত লাগে—তাঁদের জন্য ‘মাইক্রো-ওয়াকিং’ হতে পারে ছোট পদক্ষেপে বড় পরিবর্তনের শুরু।