Home আন্তর্জাতিক মহাকাশ থেকে জ্বলজ্বল করছে পবিত্র কাবা

মহাকাশ থেকে জ্বলজ্বল করছে পবিত্র কাবা

নাসার নভোচারী ডন পেটিটের ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিস্ময়কর দৃশ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) নভোচারী ডন পেটিট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে সৌদি আরবের মক্কা নগরীর একটি অসাধারণ ছবি তুলেছেন। পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫০ মাইল (প্রায় ৪০০ কিলোমিটার) ওপর থেকে তোলা এই ছবিতে পবিত্র কাবা শরীফসহ পুরো মক্কা নগরী রাতের আঁধারে হীরের মতো জ্বলজ্বল করছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে তোলা এই ছবিটি বর্তমানে ইন্টারনেটে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

অপূর্ব দৃশ্য ও বিশেষ প্রযুক্তি
বর্তমানে ‘এক্সপিডিশন ৭১/৭২’ (Expedition 71/72)-এর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন ডন পেটিট। তিনি সৌদি আরবের ওপর দিয়ে রাতে উড়ে যাওয়ার সময় বিশেষ ফটোগ্রাফি সরঞ্জাম ব্যবহার করে মক্কা নগরীর এই বিস্তারিত ও স্পষ্ট ছবিটি ধারণ করেন। ছবিতে পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদ বা মসজিদ আল-হারাম এবং এর কেন্দ্রে অবস্থিত কাবা শরীফ তীব্র আলোয় আলোকিত হয়ে আছে, যা মহাকাশ থেকেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

নভোচারী ডন পেটিটের পরিচয়
ডন পেটিট মহাকাশ থেকে বৈজ্ঞানিক ফটোগ্রাফির জন্য সুপরিচিত। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী পেটিট ১৯৯৬ সালে নাসা কর্তৃক নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত হন। মহাকাশচারী হওয়ার আগে তিনি লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে স্টাফ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। অভিজ্ঞ এই নভোচারী তার দীর্ঘ কর্মজীবনে মোট ৫৯০ দিন কক্ষপথে কাটিয়েছেন। এর আগেও তিনি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন শহর, প্রাকৃতিক ঘটনা এবং পরীক্ষামূলক পদ্ধতির ছবি তুলে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

বর্তমান মিশনের লক্ষ্য
ডন পেটিটের বর্তমান মহাকাশ মিশনটি শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এই মিশনে তিনি কক্ষপথে পণ্য উৎপাদন (In-orbit manufacturing), পানি বিশুদ্ধকরণ (Water sanitization) এবং মাইক্রোগ্রাভিটি বা ক্ষুদ্রাকর্ষণে আগুন নিয়ে গবেষণায় (Microgravity fire research) ব্যস্ত রয়েছেন। নাসার মতে, ভবিষ্যতের গভীর মহাকাশ অভিযানের জন্য এই প্রযুক্তিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মহাকাশ গবেষণা ও ব্যস্ত সময়সূচির ফাঁকে ডন পেটিটের তোলা এই ছবিটি মুসলিম বিশ্বসহ সাধারণ মানুষের কাছে এক অনন্য উপহার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি শেয়ার করে অনেকেই মহান আল্লাহর প্রশংসা করছেন এবং এই অভাবনীয় দৃশ্য ধারণ করার জন্য ডন পেটিটকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।