বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: আজ শুক্রবার, মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। পবিত্র জুমার দিনকে ইসলামে দেওয়া হয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্য। হাদিসে এসেছে, জুমার দিনকে আল্লাহ তাআলা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই দিনে আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনেই পৃথিবীতে অবতীর্ণ করা হয়। আবার কিয়ামতও সংঘটিত হবে এদিনে।
জুমার দিনের তাৎপর্য কেবল নামাজে সীমাবদ্ধ নয়; এটি আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও দোয়ার মহামুহূর্ত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা যা দোয়া করে আল্লাহ তা কবুল করেন।” তাই এই দিনটি দোয়া, কুরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে কাটানো উত্তম।
জুমার নামাজ শুধু একটি ফরজ নামাজ নয়, এটি মুসলিম সমাজের ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও সামাজিক সংহতির প্রতীক। মসজিদে সবাই একত্রিত হয়ে খুতবা শোনে, পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, খবর নেয়, এভাবেই সৃষ্টি হয় পারস্পরিক বন্ধন ও ভালোবাসা। সমাজে ন্যায়, শান্তি ও মানবিকতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে জুমার খুতবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আজকের এই পবিত্র দিনে আমাদের উচিত আত্মসমালোচনায় ফিরে আসা, আমাদের কর্ম, আচরণ ও জীবনের লক্ষ্য পুনর্বিবেচনা করা। অন্যায় থেকে দূরে থাকা, সত্য ও ন্যায়ের পথে চলা, সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়া, এই হোক জুমার দিনের অঙ্গীকার।
পবিত্র জুমার এই বরকতময় দিনে আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের গুনাহ মাফ করেন, রহমত বর্ষণ করেন এবং আমাদের জীবন ও সমাজকে শান্তি ও ন্যায়ের আলোয় উদ্ভাসিত করেন, এই প্রার্থনাই হোক আজকের জুমার মূল বার্তা।
 
            









