২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক যাত্রায় মাত্র এক মাসে ৫.৩% বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। আর এই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট সংখ্যক পাইলট পাওয়া যাচ্ছে না। অলিভার ওয়াইম্যানের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বছর বিশ্বব্যাপী পাইলট ঘাটতি ১০,০০০-এরও বেশি, যা ২০৩২ সালের মধ্যে ১৭,০০০-এ পৌঁছাতে পারে। বোয়িংয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ থেকে ২০৪৪ সালের মধ্যে ১.৪৬৫ মিলিয়ন নতুন বিমান পেশাজীবীর প্রয়োজন হবে।
আইএটিএর মতে, ৬৭ বছর পর্যন্ত পাইলটদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া বিমান শিল্পের অভিজ্ঞ মানবসম্পদকে ধরে রাখার এক উপায়। সংস্থা বলেছে, এই বয়সসীমা বৃদ্ধিকে নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে স্ট্যান্ডার্ডাইজড মেডিকেল রিস্ক মূল্যায়নের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হবে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোর উদাহরণও এটি সমর্থন করছে, যেখানে পাইলটদের জন্য কোনো উর্ধ্বসীমা নেই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাইলটদের বয়সসীমা বাড়ানো শুধু ঘাটতি মেটানোর জন্য নয়, বরং অভিজ্ঞ পাইলটদের দক্ষতা বজায় রেখে বিমান যাত্রাকে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য রাখার একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পাশাপাশি, এটি জাতিসংঘের স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যতের বিমান পেশাজীবীদের জন্যও পথ প্রশস্ত করবে।
সারসংক্ষেপে, এই পদক্ষেপ বিমান শিল্পের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে। অভিজ্ঞ পাইলটদের ধরে রাখা এবং নতুনদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা, উভয়ই বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ও মান বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।