বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: কাশ্মীরের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর থেকেই ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক আবহ। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতের অভিযোগ তুলেছে ভারত, যার জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছেছে। উত্তেজনার আবহে প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সীমান্তে। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তানের শেয়ার বাজার। হামলার পর দিন থেকেই পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে (PSX) পতনের ধারা শুরু হয়। পরপর দু’দিন রেকর্ড পতনের পরে শুক্রবার সকালে সম্পূর্ণভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে PSX-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট খুললেই ভেসে উঠছে একটি বার্তা—”We’ll be back soon”—যেখানে জানানো হয়েছে, নতুন কোনও ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সাইটে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে।
বৃহস্পতিবার বাজার খোলার পরেই পাকিস্তানের স্টক মার্কেট ২ শতাংশের বেশি পড়ে যায়। তার আগের দিন, অর্থাৎ বুধবারও দেখা গিয়েছিল বড়সড় পতনের ছবি। যদিও ভারতের শেয়ার বাজারেও কিছুটা ধাক্কা দেখা গেছে, তবে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনেক বেশি সংকটজনক হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক দুর্বলতা এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) চলতি অর্থবর্ষে পাকিস্তানের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে। দেশটির মুদ্রার অবমূল্যায়ন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার মজুত পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। ফিচ রেটিংও সম্প্রতি পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, সিন্ধু জল চুক্তি থেকে ভারত যদি সরে আসে, তাহলে কৃষিনির্ভর পাকিস্তানি অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে। এই আবহে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে তা দেশের আর্থিক ভিত্তিকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে। সব মিলিয়ে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট ক্র্যাশের ঘটনায় প্রযুক্তিগত সমস্যার পাশাপাশি আর্থিক চাপে ভাঙনের ইঙ্গিতও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।