Home আকাশ পথ পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে বিপাকে ভারতের বিমান সংস্থা

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে বিপাকে ভারতের বিমান সংস্থা

সংগৃহীত ছবি

পশ্চিমমুখী রুটে বড় প্রভাব, বিকল্প পথে বাড়তি সময় ও জ্বালানি খরচ; চাপে যাত্রী ও বিমান সংস্থা


বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার জেরে ফের ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা। ঘটনার জবাবে ভারত একাধিক কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ঘরানার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারই পাল্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ ঘোষণা করে, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAA) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের মালিকানাধীন কিংবা ভারতের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোনও বিমান আর পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে পারবে না। এর ফলে ভারতের আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবায় তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে ইউরোপ, আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় উড়ানের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের আকাশপথ সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও সুবিধাজনক রুট। এখন থেকে বিমানগুলিকে আরব সাগর ঘুরে যেতে হবে, যা তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল।

এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মতো সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, প্রতিটি যাত্রায় অতিরিক্ত ২–২.৫ ঘণ্টা সময় লাগবে, ফলে বিমান ভাড়া ৮–১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

অর্থনৈতিক চাপে সংস্থাগুলি: পথ দীর্ঘ হওয়ার কারণে বিমানগুলিকে অতিরিক্ত জ্বালানি নিতে হবে। এতে বিমানের ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে হয় যাত্রীসংখ্যা কমাতে, না হয় মালামালের পরিমাণ কমাতে হবে। এই দুটি ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলির আয় কমবে এবং তারা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে পড়বে।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি:উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বালাকোটে ভারতীয় বিমান হামলার পরেও পাকিস্তান একাধিক মাস ধরে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রেখেছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বর্তমানে ফের সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করল ইসলামাবাদ।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা: যদি এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা শুধু বিমান পরিষেবা নয়, উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও আরও অবনতি ডেকে আনতে পারে। আর যাত্রীদের জন্য সামনে আসতে পারে ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি দীর্ঘ যাত্রার ভোগান্তিও।