পাক সিনেটে ভারতের বিরুদ্ধে সর্বসম্মত প্রস্তাব
বিচনেসটুডে২৪ ডেস্ক: পাকিস্তানের সিনেট শুক্রবার সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস করেছে, যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ভারতের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের “অভিযান বা আগ্রাসন” হলে তার মোকাবিলা কঠোর, দ্রুত এবং নির্ধারকভাবে করা হবে।
প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি বলেন, “পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সক্ষম, তা সে জলসন্ত্রাস হোক কিংবা সামরিক উসকানি।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের “দায়িত্বহীন ও বিপজ্জনক কার্যকলাপের” বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাহসী ও কার্যকর প্রতিক্রিয়ার কথা।
প্রস্তাবে বলা হয়, পাকিস্তানের জনগণ শান্তির পক্ষে অঙ্গীকারবদ্ধ, তবে কেউ যদি দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা বা স্বার্থের উপর আঘাত হানে, তবে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার যে অভিযোগ ভারত তুলেছে, সেটিকে “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে নাকচ করেছে পাকিস্তানের সিনেট। তারা বলেছে, “নিরীহ মানুষের হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানের মূল্যবোধের পরিপন্থী।”
সিনেট আরও দাবি করে, ভারতের এই মিথ্যা প্রচারণা আসলে “রাজনৈতিক লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদ ইস্যুকে কাজে লাগানোর” পরিচিত পন্থা।
ভারতের unilateralভাবে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা প্রসঙ্গে সিনেট বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক চুক্তির জঘন্য লঙ্ঘন এবং কার্যত একটি যুদ্ধ ঘোষণা বলেই গণ্য হতে পারে।
প্রস্তাবে দাবি করা হয়, ভারত যেন অন্য দেশে—এর মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে—সন্ত্রাস ও টার্গেট কিলিং-এর জন্য দায়ী কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহির মুখোমুখি হয়।
উপ-প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের সাম্প্রতিক কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬টি দেশের কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়েছে। P5 (পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ)-এর কূটনীতিকরাও এই তালিকায় রয়েছেন। আরও দেশকে আজ ব্রিফ করা হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ। অতীতের মতোই, এবারও যেকোনো আগ্রাসনের জবাব কঠিন হবে। একই সঙ্গে, তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, ভারতের যেকোনো ভুল সিদ্ধান্ত গোটা অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নকে বিপন্ন করতে পারে।
এছাড়াও, সিনেট ‘সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর মেয়াদ আরও ১২০ দিনের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব পাস করেছে। এটি উপস্থাপন করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী। আইনমন্ত্রী আজম নজীর তারার ‘হুইসেলব্লোয়ার প্রোটেকশন অ্যান্ড ভিজিল্যান্স কমিশন বিল ২০২৫’ সংসদে উপস্থাপন করেন, যা সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।