৯০ কোটি টাকার লভ্যাংশে অসহায় ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে আধুনিক তুরস্কের মসজিদগুলোর আদলে বহুমুখী ইসলামিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ৫ দশমিক ৫ একর আয়তনের মসজিদ এলাকার জন্য আরও কিছু জমি ক্রয় করা হবে এবং খুব শিগগিরই ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, এই কমপ্লেক্সে এতিমদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, আইটি সেকশনসহ আধুনিক সুবিধা থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি কমিটি এর কাজ পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠানের নকশা জমা পড়েছে এবং রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ টিম মূল্যায়ন শেষে একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, পাগলা মসজিদের তহবিলে বর্তমানে ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এফডিআর আকারে সংরক্ষিত রয়েছে। এর লভ্যাংশ গরিব, অসহায় ও অসুস্থদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন এ তহবিল থেকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে শিক্ষার সুযোগ বাড়ে।
সম্প্রতি দেশের কিছু মাজারে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এসব ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট রয়েছে। মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা বা এতিমখানায় হামলা চালালে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতিটি মাজার ও মসজিদে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতাই নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। ইতোমধ্যে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে ও কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর আগে সকালে তিনি কিশোরগঞ্জ সদরের মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। পরে পাগলা মসজিদে মসজিদ কমিটির সাথে মতবিনিময় এবং আল জামিয়াতুল এমদাদিয়ায় ইসলামি অর্থনীতির গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা সভায় যোগ দেন।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
