Home সারাদেশ পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন মারাত্মক ঝুঁকিতে

পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন মারাত্মক ঝুঁকিতে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন এখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। শনিবার পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় বিভিন্ন পুরোনো ভবন সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য দেন।

তিনি জানান, যুগের পর যুগ পুরান ঢাকায় যেসব পুরোনো কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে, তার বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ এবং কাঠামোগতভাবে দুর্বল। এ ধরনের ভবন যেকোনো সময় ধসের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই দ্রুত এসব ভবনের নকশা হালনাগাদ, পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।

পরিদর্শনকালে অনেক ভবনের সামনে অবৈধভাবে স্থাপিত তাঁবু ও ছাউনি চোখে পড়ে। তিনি现场 দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে এসব উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পুরান ঢাকার শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখে রাজউক নতুনভাবে পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে চায়। তবে এজন্য পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে নিয়ম মেনে সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করতে হবে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কসাইটুলীর রেলিং ভেঙে পড়া ভবনটির নকশা সাত দিনের মধ্যে রাজউকে জমা না দিলে ভবনটি সিলগালা করা হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। তার মতে, কাঠামো নির্মাণে নিয়মানুবর্তিতা নিশ্চিত না হলে বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয়।

রাজউক চেয়ারম্যান আরও জানান, এক কাঠার কম জমিতে প্রতিষ্ঠানটি কোনো ধরনের নির্মাণ অনুমোদন দেয় না। তবুও কিছু এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে অনুমোদন ব্যতীত বহু তলা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মিটার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ চোরাই সংযোগ বা জেনারেটর ব্যবহার করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা নগর নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। তিনি মালিকদের পরামর্শ দেন যে কম জমিতে থাকা পুরোনো বা অতিরিক্ত উঁচু ভবন ভেঙে কয়েকজন মিলে নতুন পরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করলে ভবিষ্যতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরান ঢাকার কসাইটুলী এলাকায় রেলিং ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সারাদেশে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশে। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একশো সাতষট্টি জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত ষোলো জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।