Home কলকাতা বিএসএফ জওয়ান আটকে পাকিস্তানে, মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

বিএসএফ জওয়ান আটকে পাকিস্তানে, মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

ছবি এক্স হ্যান্ডেল থেকে

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ এখনও পাকিস্তানেই আটক রয়েছেন। ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর মুক্তি সম্ভব হয়নি। পাঠানকোটের ফিরোজপুর সীমান্তে কর্মরত থাকাকালীন ভুল করে সীমান্ত পার হয়ে গিয়েছিলেন পূর্ণম। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এক গাছতলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জার্স।

এই ঘটনার পর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গত ছয় দিনে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে কয়েক দফা  ফ্ল্যাগ মিটিং করেছে, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। বিএসএফের অভিযোগ, পাকিস্তান সদর্থক সাড়া দিচ্ছে না। তাই এবার কূটনৈতিক স্তরে হস্তক্ষেপ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘটনাটির তদারকি করছে। বিএসএফের ডিজি দলজিৎ চৌধুরী সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

পাকিস্তানের তরফে প্রকাশিত একটি ছবিতে পূর্ণম সাউকে তাঁর অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রীসহ দেখা গেছে। এর ভিত্তিতে বিএসএফ নিশ্চিত হয়েছে যে তিনি পাকিস্তানের হেফাজতেই রয়েছেন। বাহিনীর তরফ থেকে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে পূর্ণমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতীয় পক্ষ জানিয়েছে, কোনও অঘটন ঘটলে তার সম্পূর্ণ দায় পাকিস্তানের।

প্রাক্তন বিএসএফ এডিজি এসকে সুদ বলেন, ‘‘পাকিস্তান রেঞ্জার্সের এত সাহস নেই যে তারা একজন বিএসএফ জওয়ানকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখবে।’’ কিন্তু বাস্তবে এখনও পর্যন্ত জট কাটার ইঙ্গিত নেই। প্রাক্তন আইজি বিএন শর্মার মতে, এমন ঘটনা আগে বহুবার ঘটেছে এবং সাধারণত তা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ আলোচনাতেই মিটে যায়।

সূত্রের মতে, পহলগামে সদ্য সংঘটিত জঙ্গি হামলার পর দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তার জেরেই পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে এই পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে বলে মনে করছে বিএসএফ।

এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপও তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসের মিডিয়া প্রধান পবন খেরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ছয়দিন হয়ে গেল, কেন্দ্র কী করছে? একজন সৈনিককে ফিরিয়ে আনতে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?’’

পূর্ণমের পরিবারকে বিএসএফ পাঠানকোটে নিয়ে গেলেও, তারা এখনও পর্যন্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি।