Home First Lead চবিতে ফিরে আবেগে ভাসলেন ড. ইউনূস: ‘আমার শুরু এখানেই’

চবিতে ফিরে আবেগে ভাসলেন ড. ইউনূস: ‘আমার শুরু এখানেই’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সমাবর্তনে ইউনূস বলেন, “আমি একসময় বলেছিলাম, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। তখন অনেকে ঠাট্টা করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমরা দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবো। তাতেও মানুষ হাসে। কিন্তু আমি জানি, আমরা সকলেই নতুন পৃথিবী গড়ার ক্ষমতা রাখি, যদি গৎবাঁধা চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।”

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: নিজ আলমা ম্যাটার (Alma Mater)-এ ফিরে এসে আবেগাপ্লুত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, “কোনোদিন ভাবিনি নোবেল পুরস্কার পাবো। আমি শুধু আমার কাজ করে গেছি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। দীর্ঘ ১৮ বছর পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমার শুরুটা এখান থেকেই।”

সমাবর্তনে ইউনূস বলেন, “আমি একসময় বলেছিলাম, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। তখন অনেকে ঠাট্টা করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমরা দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবো। তাতেও মানুষ হাসে। কিন্তু আমি জানি, আমরা সকলেই নতুন পৃথিবী গড়ার ক্ষমতা রাখি, যদি গৎবাঁধা চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখানে শিক্ষক হয়ে এসেছিলাম, কিন্তু ধীরে ধীরে ছাত্র হয়ে গিয়েছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় গর্ব করতে পারে, কারণ দুটি নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। আমি যখন শিক্ষক ছিলাম, তখন ব্যক্তিগতভাবে নোবেল পেয়েছি। আর গ্রামীণ ব্যাংকের জন্মও হয়েছে এখানকার অর্থনীতি বিভাগে।”

ড. ইউনূসকে সমাবর্তনে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তিনি বলেন, “ড. ইউনূসের অর্জনের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব জড়িত। আজকের দিনটি আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

প্রায় ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন চবি-র ২২ হাজার ৬৮৬ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী। গ্র্যাজুয়েট ও পরিবারের সদস্যদের পদচারণায় পুরো ক্যাম্পাস মিলনমেলায় পরিণত হয়।