বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। তিনি সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে আসেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বয়সসীমা অনুযায়ী ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় শনিবার তিনি অবসরে যান। এর আগে সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে পূর্ণাঙ্গ প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শপথ গ্রহণের দিন থেকেই তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর জন্ম ১৯৬১ সালের ১৮ মে। তার বাবা প্রয়াত এ এফ এম আবদুর রহমান চৌধুরীও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
আইন পেশায় তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে জজ কোর্টে। ১৯৮৭ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ অগাস্ট তিনি হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি আপিল বিভাগে উন্নীত হননি।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিচার বিভাগেও বড় পরিবর্তন আসে। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে ১০ অগাস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। ওই দিনই হাই কোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই দিন পর বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীসহ চারজন বিচারপতিকে হাই কোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৩ অগাস্ট তারা শপথ গ্রহণ করেন।
বয়সের বিধান অনুযায়ী বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০২৮ সালের ১৮ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন।
বর্তমানে আপিল বিভাগে তার সঙ্গে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।









