Home সারাদেশ টেকেরহাটে হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

টেকেরহাটে হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, মাদারীপুর: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটে সরকারি হাসপাতালে এক গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালিয়েছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জেসমিন নামের ওই তরুণীকে।

রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। নিহত জেসমিন (২৫) রাজৈর পৌরসভার মোল্লাকান্দি গ্রামের প্রবাসী রানা মাতুব্বরের স্ত্রী। পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে রানা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় জেসমিনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মরদেহ রেখেই পালিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে জেসমিনের বাবার বাড়ির লোকজন।

নিহতের চাচা সাইফুল হাওলাদার বলেন, “আমরা বহুবার মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওদের আচরণ কখনও পরিবর্তন হয়নি। আজ আমার ভাইঝিকে তারা মেরে ফেলল। এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটা খুন।”

নিহত জেসমিনের রয়েছে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান। ছোট্ট মেয়েটি এখন মায়ের স্নেহ হারিয়ে বাকরুদ্ধ, চোখে শুধু শূন্যতা।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা হাসপাতালে যাই। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।


  • একজন তরুণী, এক শিশুর মা, একজন প্রবাসীর স্ত্রী—জেসমিন—আজ আর নেই। সে যেন ন্যায়ের জন্য একটা নিঃশব্দ আর্তি রেখে গেছে। আমরা যখন উন্নয়নের গল্প বলি, তখন এই নির্যাতিত নারীর মৃত্যু আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। পারিবারিক নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা—এখনো আমাদের সমাজের ভয়ংকর বাস্তবতা। প্রশ্ন রয়ে যায়, কত জেসমিনের প্রাণ গেলে সমাজটি একটু সজাগ হবে?