Home স্বাস্থ্য জীবনযাত্রায় পরিবর্তন কমাতে পারে প্রস্টেটের সমস্যা

জীবনযাত্রায় পরিবর্তন কমাতে পারে প্রস্টেটের সমস্যা

হেলথ ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের শারীরিক নানা পরিবর্তনের মধ্যে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি বা ‘বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া’ (BPH) একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি পুরুষরা প্রায়শই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট ডা. সুরেশ ভগতের মতে, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের আকার সাধারণত আখরোটের মতো হয়, যা মূত্রথলির নিচে মূত্রনালিকে ঘিরে থাকে। বয়সের সঙ্গে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে এটি বড় হয়ে মূত্রনালির পথ সংকুচিত করে দেয়, যা প্রস্রাবে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে।

সতর্কতামূলক লক্ষণসমূহ:
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই রোগের প্রাথমিক ও প্রধান লক্ষণগুলো অবহেলা করা উচিত নয়। লক্ষণগুলো হলো:

বারবার প্রস্রাবের বেগ: দিনে ও রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনেক সময় বেগ এতটাই তীব্র হয় যে বাথরুমে পৌঁছানোর আগেই কাপড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

প্রস্রাবের দুর্বল প্রবাহ: মূত্রনালি সংকুচিত হওয়ায় প্রস্রাবের গতি ধীর হয়ে যায়।

শুরু করতে সমস্যা: প্রস্রাব শুরু করতে দেরি হওয়া, মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শেষে ফোঁটা ফোঁটা পড়া।

অসম্পূর্ণ মূত্রত্যাগ: প্রস্রাব করার পরেও মনে হয় মূত্রথলি পুরোপুরি খালি হয়নি।

ঝুঁকি ও চিকিৎসা:
ডা. ভগত সতর্ক করে বলেন, এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা না করালে মূত্রথলিতে চাপ পড়ে সংক্রমণ হতে পারে, এমনকি প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তও যেতে পারে।

সাধারণত ওষুধের পাশাপাশি জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে প্রস্টেট খুব বেশি বড় হয়ে গেলে বা জটিলতা বাড়লে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। তাই শুরুতেই সঠিক চিকিৎসা নিলে অস্ত্রোপচার ছাড়াই সুস্থ থাকা সম্ভব।


জনস্বার্থে: এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবার্তাটি আপনার পরিচিত এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের সচেতন করতে শেয়ার করুন।