বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: জার্মান রাজনীতিতে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো চ্যান্সেলর প্রার্থী বুন্ডেস্টাগের (জার্মান পার্লামেন্ট) প্রথম রাউন্ডের ভোটে নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। সোমবার ৬ মে অনুষ্ঠিত গোপন ভোটে কেন্দ্র-ডানপন্থী ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলের নেতা ফ্রিডরিখ মার্জ প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি।
চ্যান্সেলর হতে হলে বুন্ডেস্টাগের ৭৩৬ সদস্যের মধ্যে অন্তত ৩১৬ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মার্জ পেয়েছেন মাত্র ৩১০টি ভোট—যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজনীয় সীমা থেকে ৬টি ভোট কম। এই ফলাফল জার্মান রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে এবং সম্ভাব্য সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেছে।
মার্জের ব্যর্থতাকে তার দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও জোটসঙ্গীদের অনাস্থার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। CDU ও তার শরিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং মার্জের কিছু বিতর্কিত অবস্থান বিশেষ করে অভিবাসন ও সামাজিক সংহতির প্রশ্নে তার বিপক্ষে গেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ভোটের পর মার্জ বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠতা অল্পের জন্য মিস করেছি। আলোচনা অব্যাহত থাকবে।” তবে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার শ্টাইনমায়ার এখন নতুন সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন অথবা দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে তিনটি মধ্যপন্থী ও বামঘেঁষা দল মার্জকে চ্যান্সেলর হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গেছে। তারা নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন।
এই ব্যর্থতার ফলে জার্মান সরকারের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমনকি, শেষপর্যন্ত যদি কাউকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন না পাওয়া যায়, তাহলে নতুন নির্বাচনও ডাকা হতে পারে।