Home আন্তর্জাতিক চীনের বনভূমি আয়ের উৎস ও পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু

চীনের বনভূমি আয়ের উৎস ও পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ কয়েক দশকের একনিষ্ঠ ও পরিকল্পিত বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চীন তাদের বনজ সম্পদকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। একসময় দেশটির গাছপালা কেবল কাঠ সংগ্রহের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু বর্তমানে সেই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে বনভূমি হয়ে উঠেছে মাটি রক্ষা, মরুকরণ রোধ, আয়ের উৎস এবং পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু।

চীনের এই বন কর্মসূচির মূল দর্শন হলো—শোষণ নয়, বরং সংরক্ষণ ও সুরক্ষার মাধ্যমেই সমৃদ্ধি অর্জন। প্রকৃতিকে ধ্বংস না করে তাকে রক্ষা করেই যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব, চীন তা প্রমাণ করে চলেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে চীনের মোট ভূখণ্ডের এক-চতুর্থাংশের বেশি এলাকা বনাচ্ছাদিত। দেশটির বনাঞ্চলে এখন ২০ বিলিয়ন ঘনমিটারের বেশি বনজ সম্পদ মজুদ রয়েছে। বিশেষ করে উত্তর চীনে বাস্তবায়িত ‘থ্রি-নর্থ শেল্টারবেল্ট প্রোগ্রাম’ (Three-North Shelterbelt Program) একটি ‘সবুজ অভিভাবক’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মানবসৃষ্ট এই বিশাল বনাঞ্চল ওই এলাকাকে তীব্র বাতাস ও বালুঝড় থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি মরুকরণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করছে।

এই কর্মসূচি কেবল উত্তরাঞ্চলে পরিবেশগত নিরাপত্তা বেষ্টনীই তৈরি করেনি, বরং এটি ‘সবুজ প্রবৃদ্ধি’র (Green Growth) ইঞ্জিন হিসেবেও ভূমিকা রাখছে। বনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কৃষিভিত্তিক শিল্প ও ইকোট্যুরিজম বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন। বিশাল এই অরণ্যরাজি একদিকে যেমন চীনের ভূমিকে রক্ষা করছে, অন্যদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহের পথও সুগম করেছে।

লাইক দিন 👍, শেয়ার করুন 🔁, এবং মন্তব্যে জানান আপনার মতামত!