বিজনেসটুডে২৪ প্রতিবেদন
তরুণ জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো বন্ধুত্ব। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে হাসা, গল্প করা, আর নিজেদের পছন্দ শেয়ার করা তাদের জীবনের রঙিন অংশ। আর এই বন্ধুত্বের মধ্য দিয়েই অনেক সময় গড়ে ওঠে ব্র্যান্ডের প্রতি ভালোবাসা ও আস্থা যা ধীরে ধীরে শক্তিশালী করে ব্র্যান্ড লয়ালটি।
নিলয় ও তিশা দুই বন্ধু। নিলয় বলল, “আমার অনেক নতুন ব্র্যান্ডের জিনিস কেনার কারণ ছিল তিশার প্রভাব। সে যখন কোনো পণ্য ভালো বলত, তখন আমি সেটা কেনার জন্য আগ্রহী হতাম। বন্ধুর কথা বিশ্বাস করা সহজ হয়, কারণ তারা নিজের ভালোবাসা ভাগ করে নেয়।”
বন্ধুত্বে ব্র্যান্ডের জায়গা অনেক গভীর। তরুণরা বন্ধুদের সঙ্গে ব্র্যান্ড নিয়ে কথা বলে, তাদের অভিজ্ঞতা শোনে এবং প্রভাবিত হয়। এই আদান-প্রদান তাদের পছন্দ ও বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে। একে অপরের পরামর্শে তারা ব্র্যান্ড বেছে নেয়, নতুন নতুন ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানে এবং সেগুলোর প্রতি লয়াল হয়।
সারাহ, এক তরুণী, বলল, “আমাদের বন্ধুবান্ধবের মধ্যে কোনো নতুন ব্র্যান্ড নিয়ে আলোচনা হলে সবাই আগ্রহ নিয়ে শুনে। তারপর অনেকেই চেষ্টা করে। বন্ধুর পরামর্শ আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়।”
বন্ধুত্বের মধ্য দিয়ে ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা বাড়ে, কারণ একে অপরের ভালোবাসা আর বিশ্বাসের ছোঁয়া থাকে। একে অপরের পছন্দকে সম্মান করা, নতুন কিছু চেষ্টা করার সাহস পাওয়া—এসবই ব্র্যান্ডের প্রতি লয়ালটির ভিত্তি গড়ে তোলে।
আজকের তরুণরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও বন্ধুদের সঙ্গে ব্র্যান্ডের কথা শেয়ার করে। ছবি, ভিডিও বা রিভিউ শেয়ার করে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা সবাইকে জানায়। ফলে বন্ধুত্বের মধ্যে ব্র্যান্ডের যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
এই বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধন ব্র্যান্ডের প্রতি একটি অদৃশ্য, কিন্তু শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করে। এই সংযোগ থেকেই ব্র্যান্ড লয়ালটি গড়ে ওঠে, যা কোনো বিজ্ঞাপন বা প্রচারণার চেয়ে বেশি কার্যকর হয়।
তাই বন্ধুদের সঙ্গে ব্র্যান্ড নিয়ে কথা বলো, শেয়ার করো তোমার পছন্দ আর অভিজ্ঞতা। কারণ বন্ধুত্বের এই আস্থা তোমার পছন্দকে করে তোলে শক্তিশালী, আর ব্র্যান্ডের সঙ্গে তোমার সম্পর্ককে করে আরও গভীর।
পরবর্তী পর্বে থাকবে:
“বিশ্বাস ও গুণগত মান – লয়ালটির মুল স্তম্ভ”