বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: শনিবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৬১টি জীবন্ত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে শুল্ক দফতর। ব্যাঙ্কক থেকে আগত ওই যাত্রীর ব্যাগে এমন বিপুলসংখ্যক বিরল প্রাণী মেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিমানবন্দরজুড়ে।
ছবি সংগৃহীত
শুল্ক বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁর লাগেজ তল্লাশি করা হয়। তখনই ব্যাগের ভিতর থেকে একের পর এক জীবন্ত প্রাণী বেরিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলির মধ্যে রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, উভচর ও পতঙ্গ। এর মধ্যে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট তেগু, কাসকাস, সেন্ট্রাল বেয়ার্ডেড ড্রাগন এবং হন্ডুরান মিল্ক স্নেক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অবিলম্বে প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করে ‘রেসকিউ অ্যাসোসিয়েশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ ওয়েলফেয়ার’-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সংস্থার সদস্যরা জানান, প্রাণীগুলির চিকিৎসা ও পরিচর্যা চলছে এবং সুস্থ হলে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
সংগৃহীত ছবি
মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধৃত যাত্রীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন এবং বিপন্ন প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত সনদের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাটি ‘বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখা’-কে জানানো হয়েছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, ধৃত ব্যক্তি ব্যক্তিগত সংগ্রহের জন্য প্রাণীগুলি এনেছিলেন কিনা, নাকি এর পেছনে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক পাচারচক্র জড়িত।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধিকর্তা পবন শর্মা বলেন, “থাইল্যান্ড এখন বন্যপ্রাণ পাচারের বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সেখানে অনেক অদ্ভুতদর্শন প্রাণী সহজলভ্য এবং কিছু ক্ষেত্রে কেনাবেচা বৈধ। ব্যাঙ্কক থেকে ভারতের সরাসরি ও সস্তা বিমান পরিষেবা পাচারকারীদের কাজ সহজ করেছে।”
পশুপ্রেমীদের মতে, ভারতে বন্যপ্রাণ পাচার এক ভয়াবহ অপরাধ। পাচারকারীরা ধরা পড়ার ভয়ে প্রাণীগুলিকে গাদাগাদি করে ছোট ব্যাগে রাখে, যার ফলে তারা তীব্র কষ্ট পায় এবং অনেক প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। মুম্বই বিমানবন্দরের এই ঘটনা আবারও সেই নিষ্ঠুর বাস্তবতার দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।