Home চট্টগ্রাম সিমেন্টের বিকল্পে বর্জ্য ফাইবার: গবেষণায় নতুন দিক

সিমেন্টের বিকল্পে বর্জ্য ফাইবার: গবেষণায় নতুন দিক

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে ইকো-ইনোভেশনভিত্তিক সবুজ রসায়ন নিয়ে সেমিনার

চট্টগ্রাম: সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে “বাস্তব প্রয়োগে ইকো-ইনোভেশন: সবুজ রসায়ন ও প্রকৌশলের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশগত দায়িত্বশীলতার অগ্রগতি” শীর্ষক সেমিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাসনিমা জান্নাত। সেমিনারে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন।

প্রবন্ধে ড. তাসনিমা জান্নাত বলেন, সবুজ রসায়ন ও প্রকৌশল এমন একটি উদীয়মান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দর্শন, যা পরিবেশবান্ধব রাসায়নিক প্রক্রিয়া এবং নিরাপদ পণ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথ দেখায়। এই দর্শনের মূল লক্ষ্য হলো দূষণ হ্রাস, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং নিরাপদ রাসায়নিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা।

তিনি বলেন, সবুজ রসায়ন ১২টি মৌলিক নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারী ধাতু শনাক্তে পানিই সর্বাধিক কার্যকর সবুজ দ্রাবক। পাশাপাশি, নির্মাণশিল্পে পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হচ্ছে। যেমন—সিমেন্টের আংশিক বিকল্প হিসেবে লৌহস্ল্যাগ ও বর্জ্য পলিয়েস্টার ফাইবার ব্যবহারে গঠনগত দৃঢ়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১৫ শতাংশ গ্রাউন্ড গ্রানুলেটেড ব্লাস্ট ফার্নেস স্ল্যাগ ও পলিয়েস্টার ফাইবারের মিশ্রণে সিলিন্ডারে সর্বোচ্চ ৬.৪৩ মেগাপ্যাস্কেল চাপ সহ্যক্ষমতা পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, এই উদ্ভাবনী গবেষণা কেবল বৈজ্ঞানিক দিক থেকে নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধের দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ রসায়ন ও প্রকৌশল এখন কেবল গবেষণার বিষয় নয়, বরং এটি পরিবেশ সচেতনতার একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে।

সেমিনারের শেষ অংশে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাস্তব সমস্যার টেকসই সমাধান নিয়ে প্রশ্ন করেন। বক্তারা এসব প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানান।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি