Home বিনোদন নায়িকা ও মাদক – হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে জেরা কক্ষে বলিউডের মুখোশ উন্মোচন

নায়িকা ও মাদক – হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে জেরা কক্ষে বলিউডের মুখোশ উন্মোচন

বলিউডের অন্ধকার পাতা

আমিরুল মোমেনিন: ২০২০ সাল। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যুর পর বলিউডে শুরু হয় এক গভীর তদন্তের ঢেউ। প্রথমে মৃত্যু তদন্ত, পরে তা মাদক সংযোগে রূপ নেয়। কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) একে একে ডেকে পাঠায় বলিউডের নামজাদা নায়িকাদের—দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর ও রকুল প্রীত সিং।

এই ঘটনা যেন উন্মোচন করে দেয় বলিউডের ‘আলো ঝলমলে’ জগতের আড়ালে এক গাঢ় ছায়া।

১. হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট: “হ্যাশ আছে?”

সুশান্তের ব্যবস্থাপক জয়া সাহা ও দীপিকার হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে “hash”, “weed”, “maal” শব্দ ব্যবহার করা হয়। মিডিয়া দ্রুত এটিকে ‘মাদকচক্রের’ ইঙ্গিত হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে।

দীপিকা ও অন্যদের জেরা করে এনসিবি। যদিও কেউ সরাসরি মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেননি, তথাপি মিডিয়ায় তাদের “মাদকাসক্ত”, “মাফিয়ার অংশ”, “স্টার কিড সুবিধাপ্রাপ্ত” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

২. দীপিকা পাড়ুকোন: মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকে মাদক বিতর্কে

যিনি একসময় মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে কথা বলে প্রশংসিত হয়েছিলেন, সেই দীপিকা নিজেই কীভাবে এমন বিতর্কে? এই প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়ে দর্শক সমাজ।
জেরা শেষে দীপিকা মুখ খোলেননি। চুপ থেকেছেন, যেমন চুপ থেকেছে বলিউডের অনেক বড় নাম।

৩. সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুর: সম্পর্ক ও রিসোর্টের ছায়া

সুশান্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, কেদারনাথ সিনেমার শুটিংয়ে একসঙ্গে সময় কাটানো—এই সবকিছু তদন্তের আওতায় আনা হয়।
অভিযোগ ওঠে, তারা রিসোর্টে গিয়ে গাঁজা সেবন করতেন। যদিও কোনোটিরই দৃঢ় প্রমাণ সামনে আসেনি।

৪. মিডিয়া ট্রায়াল বনাম আইনি অবস্থান

বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল এই নায়িকাদের নামে দিনরাত “ব্রেকিং নিউজ” চালায়। তাদের পোশাক, চোখের ভাষা, গাড়ির মডেল—সবকিছু বিশ্লেষণ হয় “সন্দেহভাজন” হিসেবে।
কিন্তু বাস্তবে, এনসিবি কাউকে অভিযুক্ত করতে পারেনি। কেউ গ্রেপ্তার হননি, চার্জশিটও হয়নি।

সাংবাদিক মহলের একাংশ এই ট্রায়ালকে আখ্যা দেন “মিডিয়া সার্কাস”। বলিউডকে ধাক্কা দেওয়ার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে—এমন মতও উঠে আসে।

৫. নারী তারকারাই কেন নিশানায়?

এই প্রশ্নও ঘুরেফিরে আসে। কেন পুরুষ তারকারা এই ধরণের জেরার মুখে পড়েন না? কেন বারবার শুধু নারী অভিনেত্রীদেরই মিডিয়া দোষী সাব্যস্ত করে ফেলে?
সমালোচকরা বলেন, এটি একটি সচেতন অপপ্রচার, যেখানে নারী তারকাদের চরিত্রহরণকে উপভোগ করে সংবাদমাধ্যম।


📣 মতামত দিন, শেয়ার করুন

এই মাদক তদন্ত আসলে কতটা সত্য? আপনি কি মনে করেন, বলিউডে সত্যিই গভীর মাদকসংযোগ আছে, নাকি এ ছিল নজিরবিহীন ‘স্টার হান্ট’?