Home First Lead ব্যবস্থা না নিলে গাড়ি বিক্রি ও রাজস্ব প্রদান বন্ধের হুঁশিয়ারি

ব্যবস্থা না নিলে গাড়ি বিক্রি ও রাজস্ব প্রদান বন্ধের হুঁশিয়ারি

বারভিডার মানববন্ধন

রাজধানীতে গাড়ির শোরুমে হামলা-চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বারভিডার মানববন্ধন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন গাড়ির শোরুমে ধারাবাহিক হামলা ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) এবং শোরুম মালিকরা। এ সময় তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে গাড়ি বিক্রি, রেজিস্ট্রেশন ফি ও রাজস্ব প্রদান বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন।

রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের সব গাড়ি বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ রেখে রাজধানীর প্রগতি সরণির কোকাকোলা মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, “রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্র আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি শোরুমে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে—চাঁদা না দিলে ব্যবসা করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি, পুলিশ ও র‌্যাব তদন্ত শুরু করেছে, কিন্তু এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা দেশবাসী ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যদি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, আমরা সারা দেশে গাড়ি বিক্রি ও রাজস্ব প্রদান বন্ধ রাখব।”

বারভিডা সভাপতি জানান, এই খাত থেকে সরকার বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায় এবং লাখ লাখ মানুষ এর সঙ্গে জড়িত। “আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নই, আমরা সেই উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব করি, যারা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন,” বলেন তিনি।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাসে রাজধানীর বারিধারা ও প্রগতি সরণি এলাকার বেশ কয়েকটি শোরুমে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিসমিল্লাহ কার সেন্টার, টার্বো অটো, বেগ অটো, কার সিলেকশন, হ্যালো কার, জুম অটোবিশ্বাস ইমপোর্টসহ মোট ১২টি বিক্রয়কেন্দ্র হামলার শিকার হয়েছে।

হামলার পর বিদেশি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে টাকা দাবি করা হয় বলে শোরুম মালিকরা অভিযোগ করেন। আশপাশের অন্যান্য বিক্রয়কেন্দ্রেও একইভাবে হুমকি দেওয়া হয় চাঁদা না দিলে তাদের শোরুমেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন গাড়ি ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এবং বলেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ না পেলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।