Home আইন-আদালত পুলিশ সদস্যেদের হেনস্তা, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

পুলিশ সদস্যেদের হেনস্তা, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: থানার ভেতরে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে নারীসহ দুই পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপির ৯ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ঘিওর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানার কম্পাউন্ডে এ ঘটনা ঘটে।

কারা আসামি

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—

  • খন্দকার বিল্টু
  • জিএম সেলিম
  • উজ্জল
  • মীর কাউসার
  • হারেজ
  • রফিকুল ইসলাম পিন্টু
  • রাজু
  • সামিউল আলম বিল্টু
  • শহিদুল ইসলাম

তাঁরা সবাই বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর ঘনিষ্ঠ ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।

কী হয়েছিল ঘটনাস্থলে?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাবলুর অনুসারীরা থানার পাশে গাড়ি রাখার চেষ্টা করেন। এক নারী পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল রাখতে বাধা দিলে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। পরে ডিউটি অফিসার এএসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাকেও গালাগাল করা হয় এবং ধাক্কাধাক্কি হয়।

এএসআই রফিকুল বলেন, “দায়িত্ব পালনকালে বহু মোটরসাইকেল থানার ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নিষেধ করলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে ধাক্কাধাক্কি করেন। এটি থানার শৃঙ্খলার পরিপন্থী।”

বিএনপি নেতাদের পাল্টা দাবি

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু। তিনি বলেন, “আমরা পূজার মেলায় যোগ দিতে গিয়েছিলাম। আমি থানার ভেতরে ছিলাম না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে হয়তো পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়েছে, কিন্তু লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে।”

ঘিওর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসারও দাবি করেন, এসআই মাসুদ রানা অনুমতি দেওয়ার পর গাড়ি ঢোকানো হচ্ছিল, তখন এএসআই রফিক গেট বন্ধ করে দেন এবং খারাপ আচরণ করেন।

অন্যদিকে এসআই মাসুদ রানা জানান, ভেতরে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তিনি গাড়ি বাইরে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

পুলিশের অবস্থান

ঘিওর থানার ওসি কোহিনুর মিয়া বলেন, “থানা প্রাঙ্গণ প্রশাসনিক এলাকা, এখানে শত শত মোটরসাইকেল ঢোকানো নিয়মবহির্ভূত। পুলিশ সদস্যকে হেনস্তার ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদিয়া সাবরিনা চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।