Home Second Lead বিএসএএ নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে দুপক্ষের বৈঠক

বিএসএএ নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে দুপক্ষের বৈঠক

কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, কেবল সূচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার

‘‘বর্তমান কমিটির মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি করলে সেটা অপর পক্ষ মেনে নেবে না। আবার প্রশাসক বসলে সে ক্ষেত্রেও বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে উভয়পক্ষকে গ্রহনযোগ্য সমঝোতায় উপনীত হওয়া প্রয়োজন বাণিজ্যিক সংগঠনটির সুনাম রক্ষার জন্য।’’

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন ( বিএসএএ ) নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনায় রবিবার দুপুরে বৈঠকে বসেন সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক ডজন খানেক কর্মকর্তা। তবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, কেবল সূচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার।

বিএসএএ-র বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। পরবর্তী মেয়াদের জন্য আজ ১৩ এপ্রিল ওই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তা নিয়ে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সিকম শিপিং লিমিটেডের পরিচালক ও বিএসএএ-র প্রাক্তন পরিচালক আলহাজ জহুর আহমদের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের সম্মতিতে নির্বাচন বোর্ড ৮ এপ্রিল ভোট স্থগিত করে এবং সংগঠনের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পত্র দেয়। তবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখনো ওই পত্রের প্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বিএসএএ নির্বাচনকেন্দ্রিক দু’গোষ্ঠি যার যার অবস্থান থেকে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছে কোন প্রেক্ষাপটে ভোট স্থগিত হয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কি চান সেটাও অবহিত করেছে।

বিএসএএর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা আজ বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেখানে কেউ কেউ অভিমত দেন যে বর্তমান কমিটির মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি করলে সেটা অপর পক্ষ মেনে নেবে না। আবার প্রশাসক বসলে সে ক্ষেত্রেও বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে উভয়পক্ষকে গ্রহনযোগ্য সমঝোতায় উপনীত হওয়া প্রয়োজন বাণিজ্যিক সংগঠনটির সুনাম রক্ষার জন্য। উপস্থিত উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দ কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে সমাধান সূত্র কি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে উপস্থিত একজন শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন নেতা জানান, সম্মিলিত পরিষদ মনোনীত প্যানেলের ‘বিতর্কিত’ গোটা দশেককে বাদ দেয়ার সেই দাবি তুলে ধরেন শাহেদ সরওয়ার গ্রুপ। তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে উভয়পক্ষের প্রার্থীদের নিয়ে প্যানেল করা বা সিলেকশনে কমিটি করার আহ্বান জানান। সম্মিলিত পরিষদের যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা এতে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। তা নিয়ে পরিষদে সবার সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন।