বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: ছয়টি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পাটয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের প্রবেশপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ পালন করেছেন। এই অবরোধ কর্মসূচির কারণে উপজেলার অন্তত ২৫টি ব্যাংকের কার্যক্রম প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধকারীরা ব্যাংকের প্রবেশপথ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ চালান। এক পর্যায়ে তারা কিছু সময়ের জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কও অবরোধ করেন। এই কারণে গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি এবং ব্যাংকিং লেনদেন ও অন্যান্য সেবা স্থগিত থাকে। আন্দোলনকারীরা এটিএম বুথেও গ্রাহকদের প্রবেশে বাধা দেন।
আন্দোলনকারীরা চাকরিতে পুনর্বহাল ও বিচারের দাবি নিয়ে ‘ব্যাংকিং কার্যক্রম অবরোধ’ স্লোগান লেখা ব্যানার হাতে প্রতিবাদ করেন। দুপুর ১২:৩০-এর দিকে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান ও পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। অবশেষে আন্দোলনকারীদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয় এবং দুপুর ১টার দিকে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পর এসব ব্যাংকের এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণকালে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পটিয়ার বাসিন্দাদের টার্গেট করে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় সাত হাজার কর্মী একযোগে বেকার হয়ে পড়েছেন। বয়সসীমা পার হওয়ার কারণে তারা নতুন চাকরি পাওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন না। তারা দাবি করেন তাদের পুনর্বহাল করতে হবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান বলেন, ‘গ্রাহকদের অসুবিধা বিবেচনায় আন্দোলনকারীদের ব্যাংকের প্রবেশপথ থেকে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। তারা সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সরে গিয়ে ধাপে ধাপে অন্যান্য ব্যাংকের সামনে থেকেও অবরোধ তুলে নেন।’
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, ‘আন্দোলনকারীরা কিছু সময় মহাসড়কে অবস্থান করলেও পরে নিজেই সরে যান।’