২০০৩ সালের ছবি পাল্টে দিয়েছিল নারী চরিত্রের সংজ্ঞা, বললেন অভিনেত্রী
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু জানিয়েছেন, ‘জিসম’ ছবিটি ছিল তাঁর অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। সম্প্রতি জুম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “জিসম করার সময় আমি ক্যারিয়ারের শীর্ষে ছিলাম। সবাই আমাকে নিষেধ করে বলেছল, তুমি এখন মানুষের চোখে বলিউডের আদর্শ নায়িকা, তুমি এধরনের প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়বস্তুর ছবি করলে সেটা তোমার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিতে পারে।” তবুও তিনি ছবির গল্পে এতটাই মুগ্ধ ছিলেন যে সিদ্ধান্ত নেন, ঝুঁকি নিয়ে হলেও ছবিটি করবেন।
বিপাশা বলেন, “আমার ম্যানেজার পর্যন্ত বলেছিল আমি পাগল হয়ে গেছি। কিন্তু আমি জানতাম, এ গল্পটা আমাকে টানে। নারীর নেতিবাচক চরিত্র নিয়ে এমন ছবি তখন বলিউডে ছিল না বললেই চলে।”
২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি পরিচালনা করেন অমিত সক্সেনা এবং চিত্রনাট্য রচনা করেন মহেশ ভাট। এতে বিপাশার বিপরীতে অভিনয় করেন জন আব্রাহাম, যাঁর বলিউডে এটিই ছিল প্রথম ছবি। ছবিটি ছিল একটি ইরোটিক থ্রিলার ঘরানার, যা বক্স অফিসে ‘ক্লিন হিট’ হিসেবে ঘোষিত হয়।
বিপাশা বলেন, “এই ছবিটি আমার জন্য পথভ্রষ্ট নয়, বরং পথপ্রদর্শক ছিল। ছবির পর মানুষের মধ্যে ব্রোঞ্জ মেকআপের ট্রেন্ড দেখা দেয়। মেয়েরা চুলে স্ট্রেটনার ব্যবহার করতে শুরু করে। আর সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ মেনে নিতে শিখল যে একজন নারীও নেতিবাচক চরিত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখতে পারে। এটা বলিউডের চিত্র পাল্টে দিয়েছিল।”
এই ছবিটি বিপাশা বসুর ক্যারিয়ারে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করে। আর জন আব্রাহামকেও প্রতিষ্ঠিত করে এক অভিনয়শীল শিল্পী হিসেবে, যিনি মূলধারার বাইরে ভিন্নধর্মী গল্পে কাজ করতে আগ্রহী।
◊বলিউডের নারী চরিত্রে বিপ্লব এনেছিল যে ছবি, তা নিয়ে আপনার মতামত কী?
আপনার মন্তব্য জানান নিচের কমেন্ট বক্সে। বিনোদন জগতের আরও এমন সাহসী সিদ্ধান্ত ও স্মরণীয় চলচ্চিত্রভিত্তিক প্রতিবেদন পেতে বিজনেসটুডে২৪.কম-এর সঙ্গেই থাকুন।