এভিয়েশন ডেস্ক: বেলজিয়ামে মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর, জাতীয় ধর্মঘটের কারণে অসংখ্য যাত্রী গুরুতর বিলম্ব এবং ফ্লাইট বাতিলের মুখোমুখি হবেন। সরকারি সংস্কারমূলক নীতির বিরুদ্ধে পেনশন, বেতন ও কাজের শর্ত নিয়ে একত্রিত শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে।
এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। ব্রাসেলসের দুটি প্রধান বিমানবন্দর—ব্রাসেলস এয়ারপোর্ট এবং ব্রাসেলস চার্লেরোই—সহ শত শত ফ্লাইট স্থগিত হতে পারে। এছাড়া ট্রেন, বাস ও ট্রাম পরিষেবাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
ব্রাসেলস এয়ারপোর্ট “গুরুতর বিঘ্ন” ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে। নিরাপত্তা কর্মীরা ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবে। এজন্য ১৪ অক্টোবর সমস্ত প্রস্থানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সাধারণত এই বিমানবন্দর দিনে প্রায় ২০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। বিমান সংস্থাগুলো প্রভাবিত যাত্রীদের সরাসরি পুনর্বিন্যাস বা ফেরতের বিকল্প জানাবে। এছাড়াও বিমানবন্দর জানিয়েছে যে ১৩ ও ১৫ অক্টোবরও এখানে অস্বাভাবিক ভিড় থাকতে পারে।
ব্রাসেলস চার্লেরোই বিমানবন্দর, যা সাধারণত বাজেট এয়ারলাইন যেমন রায়ানএয়ার দ্বারা ব্যবহৃত হয়, সেটিও ধর্মঘটের কারণে প্রভাবিত হবে। ১৪ অক্টোবর এর সমস্ত প্রস্থান ও আগমনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। প্রভাবিত যাত্রীদের বিমান সংস্থা পুনর্বিন্যাস বা রিফান্ডের ব্যবস্থা করবে।
মেট্রো, বাস ও ট্রাম পরিষেবাও ধর্মঘটের কারণে প্রভাবিত হবে। তবে কোন লাইনগুলো কার্যত বন্ধ থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। STIB-MIVB ব্রাসেলসের পরিবহন নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা “আংশিক পরিষেবা” নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং বাস্তব সময়ে যাত্রীদের অবহিত করবে। Floya অ্যাপের মাধ্যমে পর্যটকরা যে লাইনগুলো সচল আছে তা জানতে পারবেন।
জাতীয় রেলওয়ে অপারেটর SNCB এখনও কোনো ধর্মঘট নোটিশ পাননি। তবে, বর্ধিত যাত্রীর সংখ্যা অনুসারে কিছু বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধর্মঘটের প্রভাব রিটেইল খাতেও পড়তে পারে। শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বানে সফল হলে সুপারমার্কেট, ফ্যাশন রিটেইল ও DIY দোকানের কর্মীরা তাদের কর্মক্ষেত্র ছেড়ে আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন, যা অনেক দোকান হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
যাত্রী ও পর্যটকদের সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আগাম পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিমান সংস্থা ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ আপডেট মনোযোগসহকারে অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।