Home আকাশ পথ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশপথে ধাক্কা কাটিয়ে স্বস্তিতে বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তানে এখনো জটিলতা

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশপথে ধাক্কা কাটিয়ে স্বস্তিতে বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তানে এখনো জটিলতা

এভিয়েশন ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনার পর একাধিক দেশের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের রুটে বিমান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হলেও ভারত ও পাকিস্তানে এখনো রয়েছে নানা জটিলতা।

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার জেরে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইনসহ উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে। এর ফলে দোহা ও দুবাই বিমানবন্দরে প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী আটকে পড়েন এবং অন্তত ৯০০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল বা গন্তব্য পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ঢাকা থেকে দোহা, আবুধাবি, দুবাই ও কুয়েতগামী কিছু ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও বিমান চলাচল আবার শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দ্রুত ফ্লাইট পুনরায় চালু করে, এবং কোনো স্থায়ী বিলম্ব ছাড়াই যাত্রী পরিবহন চালিয়ে যাচ্ছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিটি ফ্লাইট ছাড়ার আগে নিরাপত্তা ও গন্তব্য দেশের অনুমোদন যাচাই করা হচ্ছে।

ভারতের ক্ষেত্রে, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ও আকাসা এয়ার–এর একাধিক আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বাতিল ও সময় পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ঝুঁকি ও বিমা খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নতুন নীতিমালা গ্রহণের পথে রয়েছে। দীর্ঘ রুট পরিবর্তনের ফলে অধিক জ্বালানী ব্যয় এবং যাত্রী হয়রানি এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানে পরিস্থিতি আরও জটিল। দেশটির আকাশসীমা এখনো আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান যৌথ ব্যবহৃত কিছু রুট ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। ফলে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)–এর একাধিক ফ্লাইট বিলম্ব ও বাতিল হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য অভিমুখে কিছু রুট ধীরে ধীরে পুনরায় চালু হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংকটের মূল কারণ রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি বেসামরিক বিমান চলাচলে পূর্বপ্রস্তুতির অভাব। GPS সিগন্যাল বিভ্রাট, বিমান বিমা ঝুঁকি ও রুট পরিবর্তনের কারণে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হলেও ভারত ও পাকিস্তানে এভিয়েশন সেক্টর এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়। যুদ্ধবিরতি ও কূটনৈতিক আলোচনার অগ্রগতির মাধ্যমে পরিস্থিতির আরও উন্নতি আশা করা যাচ্ছে।