এভিয়েশন ডেস্ক: ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজধানী আহমেদাবাদে শতাধিক যাত্রী বহনকারী একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকাশে উড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সেটি দ্রুত নিচে পড়ে যায়। মুহূর্তেই বিশাল আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। বিমানবন্দরের আশপাশের মেঘানি নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটি আশপাশের স্থাপনার দেয়ালে আঘাত হানে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
বিমানটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ১৭১ যা আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, বিমানটিতে প্রায় ২৪০ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নির্ভরযোগ্য যাত্রী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার পরপরই গুজরাট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, উদ্ধারকারী দল ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আশপাশের এলাকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, প্রথমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তারা বাইরে বেরিয়ে এসে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান।
গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি, আবহাওয়া কিংবা মানবিক ভুল সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে দুর্ঘটনায় এখনো কতজন নিহত বা আহত হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম শতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। তবে সরকারি সূত্র থেকে এখনো এমন কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় বিমান দুর্ঘটনার শঙ্কা জাগাচ্ছে। আগামী কয়েক ঘণ্টা ও দিনেই ঘটনার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।