Home আন্তর্জাতিক ব্রিটিশ কিশোরী নিখোঁজের রহস্য: ধরা পড়লেন জর্জিয়ায়

ব্রিটিশ কিশোরী নিখোঁজের রহস্য: ধরা পড়লেন জর্জিয়ায়

ছবি সংগৃহীত

 

 হঠাৎ করেই খবর আসে, থাইল্যান্ড নয় বেলাকে পাওয়া গেছে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের জর্জিয়ায়। সেখানে তাকে আটক করা হয়েছে মাদকদ্রব্য আইনে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

থাইল্যান্ডে ভ্রমণের সময় নিখোঁজ হওয়া এক ব্রিটিশ কিশোরীকে হাজার মাইল দূরে পশ্চিম এশিয়ার দেশ জর্জিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ বছর বয়সী বেলা মে কালিকে আটক করেছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

যুক্তরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ডারহাম কাউন্টির বিলিংহাম শহরের বাসিন্দা বেলা মে কালিকে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তিনি এখন জর্জিয়ার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

এর আগে তার পরিবার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, থাইল্যান্ডের উপকূলীয় পর্যটন শহর পাতায়ায় তাকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। এর পর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

বেলার মা লায়ান কেনেডি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার মেয়ে ইস্টারের পর ফিলিপাইনে এক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানে তিন সপ্তাহ থাকার পর ৩ মে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমায়। সবসময় সে ছবি পোস্ট করছিল, খুব স্বাভাবিক আচরণ করছিল। শনিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে আমাকে শেষবারের মতো বার্তা পাঠায় যে সে আমাকে ফেইসটাইম করবে। সেটাই শেষ যোগাযোগ।”

মেয়ের হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তার বাবা নিল কালি এবং ফুফু কেরি কালি। তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে থাইল্যান্ডে গিয়ে খোঁজ শুরু করেন। ব্রিটেন ও থাইল্যান্ডের পুলিশকে অবগত করা হয়, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়।

এদিকে হঠাৎ করেই খবর আসে, থাইল্যান্ড নয় বেলাকে পাওয়া গেছে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের জর্জিয়ায়। সেখানে তাকে আটক করা হয়েছে মাদকদ্রব্য আইনে।

পুলিশের মুখপাত্র বলেন, “আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে বিলিংহামের এক ১৮ বছর বয়সী তরুণীকে জর্জিয়ায় মাদক অপরাধে আটক করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সে দেশের পুলিশ হেফাজতে আছেন।”

যেভাবে থাইল্যান্ড থেকে জর্জিয়ায় তিনি পৌঁছান এবং তার সঙ্গে আদৌ কোনো আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ব্রিটিশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

এ ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—তরুণ পর্যটকরা কীভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে, এবং পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত দেশগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা কতটা?