Home আন্তর্জাতিক ব্রিটিশ টেলিকম জায়ান্ট বিটি গ্রুপে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই

ব্রিটিশ টেলিকম জায়ান্ট বিটি গ্রুপে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিটি-র ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে বড় প্রভাব ফেলতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটেনের বৃহত্তম ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিটি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী অ্যালিসন কার্কবি জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিকাশ চলমান ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইকে আরও গভীর করতে পারে। রোববার ব্রিটিশ দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কার্কবি বলেন, “আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি চাকরি কমানো ও ৩ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ ছাঁটাই তা এখনও এআই প্রযুক্তির সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা এআই থেকে যা শিখছি, তার ওপর ভিত্তি করে হয়তো এই দশকের শেষে বিটি আরও ছোট হতে পারে।”

২০২৩ সালে বিটি জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৫৫ হাজার পর্যন্ত কর্মী (যার মধ্যে কন্ট্রাক্টররাও রয়েছেন) ছাঁটাই করতে পারে। সেই সময়কার সিইও ফিলিপ জ্যানসেন বলেছিলেন, দশকের শেষে কোম্পানিটি একটি ছোট কর্মীসংখ্যা এবং অনেক কম খরচে পরিচালিত হবে।

এক বছর আগে জ্যানসেনের স্থলাভিষিক্ত অ্যালিসন কার্কবি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিটি গ্রুপ তাদের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো শাখা ওপেনরিচকে ভবিষ্যতে আলাদা কোম্পানি হিসেবে স্পিন-অফ করতে পারে। কার্কবির মতে, বিটির বর্তমান শেয়ার মূল্যে ওপেনরিচের প্রকৃত মূল্য প্রতিফলিত হচ্ছে না। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে, প্রতিষ্ঠানটি বিকল্প পদ্ধতি বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।

 বিটি বলেছে, বর্তমানে ওপেনরিচ নিয়ে সক্রিয়ভাবে কিছু ভাবা হচ্ছে না। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে কার্কবির মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি আর কোনো মন্তব্য করেনি।

সম্প্রতি বিটি জানিয়েছে, ফাইবার ব্রডব্যান্ডের ব্যাপক চাহিদা এবং ৯০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি খরচ কমানো তাদের বার্ষিক আয় ও নগদ প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করেছে। ওপেনরিচ শাখার স্থিতিশীলতা ব্যবসায়িক ও ভোক্তা ইউনিটে আয়ের পতন কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছে। কারণ, ঐ দুই শাখায় পুরনো ভয়েস সেবার চাহিদা কমে এসেছে এবং হ্যান্ডসেট বিক্রিও কমেছে।