বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাসী নারীসহ একটি পরিবারের উপর দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় মাইক্রোবাস গতিরোধ করে ৭ থেকে ৮ জনের এক দল অস্ত্রধারী ডাকাত এই হামলা চালায়।
হামলার সময় তারা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় ডাকাতদের ধাওয়া দিলে হাইওয়ে পুলিশের ওপর পাল্টা গুলি চালায় তারা। গুলিবিদ্ধ হন রেকারচালক তুহিন মিয়া, যিনি বর্তমানে কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার জানান, তার ননদ বিউটি আক্তার জর্দান প্রবাসী। বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে তারা টঙ্গী থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। মাইক্রোবাসটিতে বিউটি, তার শিশু সন্তান, পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা ছিলেন।
ডাকাতদের কাছে ছিল বন্দুক, ওয়াকিটকি, হাতকড়া ও দেশীয় অস্ত্র। তারা মুহূর্তেই যাত্রীদের জিম্মি করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ও ৫-৬টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
প্রবাসী বিউটির শ্বশুর আব্দুল হামিদ অভিযোগ করেন, মাইক্রোবাস চালক মুস্তাকিন ও হেলপার জুয়েল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তিনি জানান, তারা উদ্দেশ্যহীনভাবে গাড়ি ঘুরিয়ে সময় নষ্ট করছিল।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে, একটি ডাকাতদলের ফেলে যাওয়া এবং অন্যটি ভুক্তভোগী পরিবারের। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২৯ মে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই, ২১ মে বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের উপর নির্যাতন, ১৭ ফেব্রুয়ারি যাত্রীবাহী বাসে লুটের ঘটনা ঘটেছে একই মহাসড়কে। এসব ঘটনায় মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
♦সড়কপথে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন? আপনার অভিজ্ঞতা বা মতামত জানাতে লিখুন আমাদের পাঠক কলামে। নিয়মিত আপডেট পেতে চোখ রাখুন বিজনেসটুডে২৪.কম-এ।
