কৃষি, যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিপর্যয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৮ জন। ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ৯০টি কমিউনের ১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে, যা দেশটির কৃষি, যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
দা নাং, হুয়ে এবং কুয়াং নগাই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে পাহাড়ি অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে জাতীয় মহাসড়ক ও রেলপথ। হুয়ে শহরে বো নদীর পানি ২০২০ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির চিত্র:
- ২৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
- ৪,৪০০ হেক্টর ধান ও ফসল নষ্ট
- ৬৫০ হেক্টর ফলের বাগান ধ্বংস
- ১৬,৩০০ গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি ভেসে গেছে
পরিবহন ও সরবরাহ চেইনে বিপর্যয়: ২০টি জাতীয় মহাসড়ক ও রেলপথ বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। হো চি মিন রোড ও চুওং সন ডং রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষিপণ্য ও শিল্পজাত দ্রব্যের সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে।
ব্যবসায়িক প্রভাব: স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রপ্তানিমুখী কৃষি খাত এবং পর্যটন শিল্পে এই দুর্যোগ দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত পুনর্বাসন ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের উদ্যোগ না নিলে অর্থনৈতিক ক্ষতি আরও বাড়বে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: মধ্য ভিয়েতনামে আগামী কয়েকদিন বন্যার পানি স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। নিচু এলাকায় পানি নামতে ৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বিশ্লেষণ: এই দুর্যোগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কৃষি বাজার ও সরবরাহ চেইনে প্রভাব ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক মহলে ভিয়েতনামের উৎপাদন ও রপ্তানি সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।










