আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ভ্রমণ, কাজ কিংবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে যেতে হলে ভিসা অপরিহার্য। তবে সাম্প্রতিক সময় ইউএই কর্তৃপক্ষ কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। অর্থাৎ এসব দেশের নাগরিকরা আপাতত ইউএই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
কোন কোন দেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায়
ইমিগ্রেশন সার্কুলার অনুযায়ী, ২০২৬ সালে ইউএই ভিসা নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় রয়েছে—
- আফগানিস্তান
- লিবিয়া
- ইয়েমেন
- সোমালিয়া
- লেবানন
- বাংলাদেশ
- ক্যামেরুন
- সুদান
- উগান্ডা
⚠️ উল্লেখ্য, আগে নাইজেরিয়ান নাগরিকদের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধের কথা শোনা গেলেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল অনিশ্চিত।
কেন এই নিষেধাজ্ঞা
ইউএই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কারণ জানায়নি। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সূত্র বলছে, নিষেধাজ্ঞার পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো—
নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ: সন্ত্রাসবাদ বা অবৈধ কার্যকলাপের ঝুঁকি ঠেকাতে।
কূটনৈতিক টানাপোড়েন: কিছু দেশের সঙ্গে উপসাগরীয় অঞ্চলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট।
কোভিড-১৯ পরবর্তী নীতি: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর প্রবেশ প্রটোকল নিশ্চিত করা।
প্রবাসী ও সম্পর্কের ওপর প্রভাব
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফ্রিকান দেশগুলোর অনেক প্রবাসী নতুন কর্ম ভিসা বা ভিসা নবায়নে সমস্যায় পড়েছেন।
পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্পর্কেও প্রভাব পড়ছে।
তবে যারা ইতোমধ্যে বৈধ ভিসায় ইউএইতে অবস্থান করছেন, তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয়।
ভিসা নিষেধাজ্ঞা বনাম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
ভিসা নিষেধাজ্ঞা: নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে না দেওয়া।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা: কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত পরিস্থিতির কারণে (যেমন ভুয়া ভিসা, অপরাধমূলক রেকর্ড, ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ থাকা ইত্যাদি) ইউএইতে প্রবেশে বাধা।
নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে কী হবে?
যখন ইউএই এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে, তখন সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকরা আবার—
পর্যটন ভিসা (স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি)
কর্ম ভিসা
অনলাইন বা দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার আবেদন
করতে পারবেন।
২০২৬ সালে ইউএই প্রবেশের সাধারণ শর্ত
জাতীয়তা নির্বিশেষে ইউএই ভ্রমণে প্রয়োজন—
ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকা বৈধ পাসপোর্ট
অনুমোদিত ইউএই ভিসা
নেগেটিভ কোভিড-১৯ পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট
টিকা গ্রহণের সনদ
স্বাস্থ্য ও কোয়ারেন্টাইন নীতিমালা মেনে চলা
উপসংহার
বর্তমানে ইউএই ভিসা নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় নয়টি দেশ রয়েছে। কতদিন এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এটি সাময়িক ব্যবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে। বৈধ ভিসায় যারা ইউএইতে আছেন, তারা পূর্বের নিয়মে বসবাস ও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।